ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট - এমন ভাবেই কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২১-২২ বাজেটকে ব্যাখ্যা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন কৃষক মানুষ বিরোধী এই বাজেট। আরও দাবি করলেন, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির রাস্তা তাঁরাই বানিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন করে কিছু করার নেই।
- Home
- Business News
- Other Business
- Budget 2021-22 Live- পেট্রোপন্যে বসল কৃষি সেস, নিত্য পন্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা
Budget 2021-22 Live- পেট্রোপন্যে বসল কৃষি সেস, নিত্য পন্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা
অতিমারির মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে একটি অর্থবর্ষ। এই এক বছরের আর্থিক ঘাটতির হার বাড়তে বাড়তে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই অবস্থা শুধু ভারতবর্ষের নয়, গোটা বিশ্বই এখন প্রবলভাবে ধাক্কা খেয়েছে করোনাভাইরাস নামক অতিমারিতে। দীর্ঘ লকডাউনের যাত্রা বেরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারত-সহ বিশ্ব। ভারতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে আনলক পর্ব। ধীরে ধীরে জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এহেন এক পরিস্থিতিতে পেশ হতে চলেছে সাধারণ বাজেট ২০২১-২২। অতিমারি-তে যে আর্থিক মন্দা হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায় এখন সেদিকেই ফোকাস করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এই মুহূর্তে যে বিষয়গুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সেটা হল কর্মসংস্থান এবং আর্থিক মন্দা কাটানোর চ্যালেঞ্জ।
- FB
- TW
- Linkdin
এই বাজেট ভারতে এবং বিশ্বে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলবে। বাজেটের স্বাবলম্বনের দৃষ্টি রয়েছে এবং এতে সমাজের প্রতিটি বিভাগের কথা রয়েছে। কৃষকদের আয় বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা সহজেই ঋণ পাবেন।
'রোড ফর ভোট', অর্থাৎ ভোটের কথা মাায় রেখে রাস্তা তৈরি। এক কথায় কেন্দ্রীয় বাজেটকে এভাবেইব ব্যখ্যা করলেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ভারতের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের বিষয়ে বিশ্বাস রাখতে বলছেন। কিন্তু বিশ্বাস তৈরি হয় ট্র্যাক রেকর্ড থেকে। মোদী সরকারের ট্র্যাক রেকর্ডে সেই বিশ্বাস তৈরি হচ্ছে না বলে জানালেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই বাজেট সময়োপযোগী এবং ভারতের প্রবৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
কংগ্রেস দল বাজেট পেশের পর কৃষি সমস্যাগুলি সমাধান করতে ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে। কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘কৃষক বিদ্রোহী’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
২০০০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স ৪৮,৩৪৬.৮৮-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে নিফটি-ও ১৯১.৮৫ পয়েন্ট বেড়ে বর্তমানে ১৩,৮২৬.৪৫-এ পৌঁছেছে।
বাজেটে কী কী বদল এল আয়করে
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২১-এ কী কী পেল কৃষিক্ষেত্র
আয় বাড়াতে পেট্রো পন্যে কৃষি সেস বসালো মোদী সরকার। ডিজেলে ৪ টাকা প্রতি লিটার এবং পোট্রোলে ২.৫ টাকা প্রতি লিটার হিসাবে সেস বসানো হল। ফলে নিত্য ব্যবহার্য সকল পন্যের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শেষ হল কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ।
তামার ছাঁটের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করা হল। ন্যাপথার শুল্কও কমে ২.৫ শতাংশ হল। সোনা ও রূপার আমদানী শুল্ক যৌক্তিক করা হচ্ছে। সৌরশক্তি চালিত ইনভার্টার, সৌর লণ্ঠনেরও আমদানি শুল্ক বেড়েছে। সমস্ত নাইলন পণ্যের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হয়েছে। টানেল বোরিং মেশিন-এর আমদানি শুল্ক ৭ শতাংশ।
গত দুই মাসে রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি সংগ্রহ হয়েছে। জিএসটি কাঠামোকে আরও মসৃণ করার এবং অসঙ্গতিগুলি দূর করার চেষ্টা চলছে। একটি নতুন কাস্টমস শুল্ক কাঠামো তৈরি হরা হবে।
নিয়োগকর্তারা অনেকসময় কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অবদানগুলি কেটে নিলেও সময়মতো তাদের অর্থ প্রদান করেন না। এই অর্থ সময়মতো জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে দেরিতে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিয়োগকর্তাদের ছাড় হিসাবে ধরা হবে না।
সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পগুলি এক বছরের জন্য ট্যাক্সের ছুটি পাবে। এছাড়া নতুন ফ্ল্যাট কিনলে দেড় লক্ষ টাকা আয়করে ছাড় মিলবে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত। শেয়ারের ডিভিডেন্ট থেকেও টিডিএস কাটা হবে না।
করদাতাদের চাপ কমাতে, বিশেষত বয়স্কদের কথা মাথায় রেখে ৭৫-ঊর্ধ্ব বয়সী পেনশনভোগীদের প্রাপ্ত সূদ সম্পূর্ণ করমুক্ত করা হল। তাদের আয়কর রিটার্নও জমা দিতে হবে না।
গত আর্থিক বছরে আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৯.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। সরকারী ঋণ, বহুপক্ষীয় তহবিল এবং স্বল্পমেয়াদী ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে এই ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও ৮০,০০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। ২০২১-২২'এ জিডিপির ৬.৮ শতাংশ আর্থিক ঘাটতি হতে পরে বলে অনুমান করা হয়েছে। এর জন্য বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ করা হবে ১২ লক্ষ কোটি টাকা।
অসম ও বাংলার চা বগানের শ্রমিকদের জন্য বাজেটে ১ হাজদার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।
আসন্ন আদমশুমারি হবে প্রথম ডিজিটাল জনগণনা। এর জন্য, এই বছর ৩,৭৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ।
অসংগঠিত শ্রমিক এবং নির্মাণ কর্মীদের তথ্য রাখার জন্য একটি পোর্টাল চালু করা হবে। এতে উপকৃত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এছাড়া এই কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা বাড়ানো হবে। এটি চারটি নতুন শ্রম কোড আনা হবে। মহিলা শ্রমিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সহ রাতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।