সংক্ষিপ্ত
বাজেট ব্যাখ্যায় মোদী উল্লেখ করেন, "দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। জিডিপি থেকে রফতানি, দ্বিগুণ হয়েছে সবকিছুই। গত সাত বছরে জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।"
গত সাত বছরে অনেকটাই বেড়েছে দেশের জিডিপি (GDP)। কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) পেশের পর পরিসংখ্যান দিয়ে একথা উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বুধবার এক ভার্চুয়াল সভায় বিজেপি কর্মীদের বাজেট সংক্রান্ত ব্যাখ্যা দেন মোদী। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেন, দেশের অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। জিডিপি থেকে রফতানি, দ্বিগুণ হয়েছে সবকিছুই। মোদী আরও বলেন, "বর্তমানে দেশে প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছে। তার ফলে আমাদের উচিত অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এটা নতুন সঙ্কল্পের সময়। আমাদের দেশে কী ভাবে আরও উন্নয়ন করা যায়, সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।"
বাজেট নিয়ে ব্যাখ্যায় করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "১০০ বছরে কঠিনতম মহামারীর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। করোনা পরিস্থিতি কাটলেই দেশে অনেক পরিবর্তন আসবে। গোটা বিশ্বেই বড়সড় পরিবর্তন আসবে। এটাই নতুন সঙ্কল্পের সময়। দেশকে আধুনিকতার পথে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখানো হয়েছে এই বাজেটে।" তিনি আরও বলেন, "করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। করোনাকালের আগের বিশ্ব এবং পরের বিশ্ব সম্পূর্ণ আলাদা। আজ ভারতের প্রতি গোটা দেশের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন ভারতকে আরও শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চায় গোটা বিশ্ব।"
আরও পড়ুন- বাজেটে বাংলার ভাগ্যে জুটল কী, কতটা পালন হয়েছে প্রতিশ্রুতি
এরপর জিডিপি প্রসঙ্গে মোদী বলেন, "আধুনিক ভারত গড়ার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে এই বাজেটে। গত ৭ বছরে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া ফলে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই এগিয়েছে। সাত বছর আগে দেশের জিডিপি ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি। আমাদের সরকারের বিভিন্ন নীতির মাধ্যমেই এই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রফতানিও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মোদী জানান, ২০১৩-১৪ সালে রফতানি হত ২ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকার আর আজ প্রায় ৪ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির রফতানি হয়। সাত বছর আগে ২৭৫ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষিত ছিল, আজ সেটা বেড়ে হয়েছে ৬৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। সাত বছর আগে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসত আর আজ সেটা ৮০ বিলিয়ন ডলার পার করেছে বলে উল্লেখ করেন।
সীমান্ত সুরক্ষা নিয়েও একাধিক ঘোষণা হয়েছে বাজেটে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সীমান্ত সুরক্ষা আরও বাড়াতে হবে। সীমান্তবর্তী গ্রামেও উন্নয়নের গতি আনতে হবে। উন্নয়নের কাজ যত হবে, ততই সুরক্ষিত হবে সীমান্ত। সীমান্তবর্তী এলাকার শিশুদের এনসিসি-র প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। পার্বত্য এলাকায় জাতীয় রোপওয়ে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাজেটে কৃষকদের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ। কৃষিকাজে আরও টেকনোলজির সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। জমি থেকে রাসায়নিক সার দূর হলে কৃষিকাজ ভাল হবে। এতদিন দারিদ্র দূরীকরণের কথা বলা হত শুধু, কাজ হত না। ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর হত কি? এত রাস্তা হত কি?। এবার প্রাকৃতিক কৃষি করিডোর হবে। প্রথম পর্যায়ে উত্তরাখণ্ড-উত্তরপ্রদেশ-বিহার-ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ প্রাকৃতিক কৃষি করিডোর। গঙ্গার ধার ধরে ৫ কিলোমিটার ধরে প্রাকৃতিক কৃষি করিডোর হবে। অর্গানিক চাষ হলে, সেই শস্যের চাহিদা আরও বাড়বে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্টার্ট আপ ভারত।"