সংক্ষিপ্ত

পূর্ণকালীন অর্থমন্ত্রী হিসাবে এটি সীতারমনের চতুর্থ বাজেট। ওদিকে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২২-র এই বাজেট আদপে দশম সাধারণ বাজেট। 

মঙ্গলবারই দেশের সংসদে সাধারণ বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। পূর্ণকালীন অর্থমন্ত্রী হিসাবে এটি সীতারমনের চতুর্থ বাজেট। ওদিকে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২২-র এই বাজেট (Union Budget 2022)  দশম সাধারণ বাজেট (Tenth general budget) । চলুন দেখে নেওয়া যাক, মোদী সরকারের পেশ করা প্রত্যেক বাজেটের মূল বিষয়গুলি।   

২০১৪ বাজেট 
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর মসনদে পালাবদলের পর যখন মোদী সরকার নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, তখন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ২০১৪ সালের জুলাই মাসে সম্পূর্ণ সাধারণ বাজেট পেশ করেন।  ২০১৪ সালের এই বাজেটে কর ছাড়ের সীমা ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লাখ টাকা করা হয়েছিল। এছাড়াও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছিল। 

বাজেট ২০১৫ 
এই বাজেটও পেশ হয় তদানন্তীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির হাত ধরে। ২০১৫ সালের বাজেটের সবচেয়ে বড় ঘোষণা ছিল সম্পদ কর বাতিল। যাদের বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি তাদের উপর সারচার্জ ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ হয়েছিল। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় বিনিয়োগের সুদকে করমুক্ত করার ঘোষণা করা হয়েছিল। এনপিএস-এ বিনিয়োগের উপর ৫০ হাজার ছাড় দেওয়া হয়েছিল। 

বাজেট ২০১৬-১৭ 

মোদি সরকারের ২০১৬ সালের বাজেটের উল্লেখ্য হল, ৫ লাখের কম আয়কারীদের জন্য কর রেয়াত ২০০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা হয়েছিল। অন্যদিকে ২০১৭ সালে  ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাধারণ বাজেট এবং রেলওয়ে বাজেট একসঙ্গে পেশ করেছিলেন তদানন্তীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এর বাইরে অর্থমন্ত্রী করদাতাদের ১২,৫০০ টাকা কর ছাড় দিয়েছিলেন। ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আয়ের জন্য আয়করের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল ওই বাজেটেই৷ 

বাজেট ২০১৮ - অর্থমন্ত্রী
এই বছরের বাজেটে বেতনভোগী করদাতাদের ৪০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেস ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ শতাংশ হয়েছিল। তৎসহ  প্রবীণ নাগরিকদের ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত সুদের আয়ের উপর কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল এই বাজেটেই। ওদিকে ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত MSEM ব্যবসার ট্যাক্স স্ল্যাব ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছিল।  

বাজেট ২০১৯

২০১৯ সালে, প্রথম অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল যেখানে কর রেয়াতের সীমা ২৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫০০ টাকা করা হয়েছিল৷ এছাড়াও, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে জমার উপর ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদ করমুক্ত করা হয়েছিল। এরপর মোদী সরকার দ্বিতীয় দফায় মসনদে বসার পর এই বছরেই পূর্ণ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এতে ২ থেকে ৫ কোটি আয়ের ওপর ৩ শতাংশ এবং ৫ কোটির বেশি আয়ের ওপর ৭ শতাংশ সারচার্জ বাড়ানো হয়েছিল।

বাজেট ২০২০

২০২০ সালের বাজেটে বিকল্প আয়কর স্ল্যাব ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন পুরনো ঐতিহ্যবাহী আয়কর স্ল্যাব এবং নতুন বিকল্প কর স্ল্যাব উভয়ই করদাতাদের জন্য উপলব্ধ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও, এই বাজেটের বড় ঘোষণা ছিল, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ যারা শুধুমাত্র পেনশন এবং মূলধন থেকে সুদের আয়ের উপর নির্ভরশীল তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাতিল। 

বাজেট ২০২১

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে নতুন ভারতের নকশা পেশ করেছিলেন। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলির জন্য, কর ছুটি এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। স্টার্টআপগুলিতে বিনিয়োগ থেকে মূলধন লাভের ছাড় আরও এক বছরের জন্যও বাড়ানো হয় গত বাজেটেই।