সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩'কে (Union Budget 2022) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। এই বাজেট নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)?
বিকালে এই বাজেটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উপস্থাপিত আর্থিক নথিটি আরও বেশি পরিকাঠামো (Infrastructure), আরও বেশি বিনিয়োগ (Investment), আরও বেশি আর্থিক বৃদ্ধি (Financial Growth) এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের (Employment) সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩'কে (Union Budget 2022) 'জনবান্ধব এবং প্রগতিশীল' বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। মঙ্গলবার সকালেই লোকসভায় নতুন আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। বিকালে এই বাজেটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উপস্থাপিত আর্থিক নথিটি আরও বেশি পরিকাঠামো (Infrastructure), আরও বেশি বিনিয়োগ (Investment), আরও বেশি আর্থিক বৃদ্ধি (Financial Growth) এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের (Employment) সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ।
বাজেট বিষয়ে তাঁর ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, গত ১০০ বছরে কোভিড-১৯ মহামারির (COVID-19 Pandemic) মতো ভয়াবহ বিপর্যয় আর আসেনি। এর মধ্যে উন্নয়নের নতুন আস্থা তৈরি করছে এই বাজেট। যা, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের জন্য অনেক নতুন সুযোগ সুবিধা তৈরি করবে। তাঁর মতে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩-এর মূল ফোকাস ছিল দরিদ্রদের কল্যাণ। প্রত্যেক দরিদ্র মানুষ যাতে একটি পাকা ঘর, কলের জল, শৌচাগার, রান্নার গ্যাসের সুবিধার মতো প্রাথমিক চাহিদাগুলি পান, সেই দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে এতে আধুনিক ইন্টারনেট সংযোগের উপরও সমান জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি ড্রোন, স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম, অনলাইনে দক্ষতা উন্নয়ন, ই-পাসপোর্টের মতো - প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে এটি প্রথম হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, এবং উত্তর-পূর্বের মতো অঞ্চলগুলির জন্য পর্বতমালা প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনা, পাহাড়ে একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে বলেই দাবি করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী, এই কেন্দ্রীয় বাজেটকে জনবান্ধব এবং প্রগতিশীল এবং গরীবদের কল্যানমূলক বলে দাবি করলেও, অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ এবং বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেছেন, এই বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই। গরীব, মধ্যবিত্ত বা কৃষকদের এই বাজেট থেকে কিছুই পাওয়ার নেই। তাঁরা দাবি করছেন, বাজেটটি একেবারেই কর্পোরেটমুখী। আয়কর (Income Tax) কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে, কর্পোরেট কর (Corporate Tax) কমিয়ে আনাই এর সরাসরি প্রমাণ বলে দাবি করছেন তাঁরা।
কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা রাজ্যসভার (Rajya Sabha) বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খরগে (Mallikarjun Karge) বলেছেন, 'এটি অর্জুন এবং দ্রোণাচার্যের বাজেট, একলব্যের নয়। ওরা ক্রিপ্টোকারেন্সির কথাও উল্লেখ করেছে, যার বিষয়ে কোনও আইন নেই বা আগে কোনও আলোচনা করা হয়নি। বাজেট তাদের (সরকারের) বন্ধুদের উপকার করবে'। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বাজেটকে 'জিরো সাম বাজেট' বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও বলেছেন, বাজেট থেকে প্রাপ্তি 'শূন্য'।