সংক্ষিপ্ত
- রেলে চাকরি নামে প্রতারণাকাণ্ডে নয়া মোড়
- পুলিশের জালে এবার বিজেপি-এর এক নেতা ও কর্মী
- উত্তর ২৪ পরগণা থেকে গ্রেফতার অভিযুক্তেরা
- আরও একজনের খোঁজে চলছে তল্লাশি
পত্রলেখা বসু চন্দ্র, বর্ধমান: একজন দলের নেতা, আর এক কর্মী। উত্তর চব্বিশ পরগণা থেকে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনায় এবার নাম জড়াল বিজেপির। ধৃতদের জেরা করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: বলেছিলেন 'মমতাকে জড়িয়ে ধরবেন', করোনা আক্রান্ত বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা
রেলে চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষপর্যন্ত হাতে এসেছে জাল নিয়োগপত্র! সম্প্রতি এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন সব্য়সাচী মণ্ডল নামে এক যুবক। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহরের বাসিন্দা তিনি। কী ব্যাপার? তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলা-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সোমবার রাতে। তারপর? ধৃতদের মধ্য়ে ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ণিমা দে নামে দু'জনকে জেরা করে মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আবার বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগণার নিউ ব্যারাকপুরে হানা দেয় গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। সেখানে প্রথমে দিবাকর রায়, তারপর ওই জেলারই বীজপুর থেকে রাজেশ প্রামাণিককে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে বসল প্রয়াত কংগ্রেস নেতার মূর্তি, সৌজন্যের নজির তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার
কে এই দিবাকর রায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, একসময়ে উত্তর দমদম কেন্দ্রে বিজেপি-এর তফশিলির মোর্চার উত্তর মণ্ডলে সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। আর এক অভিযুক্ত রাজেশও বিজেপি সক্রিয় কর্মী। পুলিশের দাবি, জেরায় ভৈরব জানিয়েছে, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলে সে দিবাকরকে জমা দিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্য়াঙ্কের মাধ্যমেই লেনদেন চলত, কখনও কখন আবার নিজে গিয়েও টাকা দিতে আসত দিবাকরের হাতে। তদন্তে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে একাধিক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২০ লক্ষ দিবাকরকে দেওয়া হয়েছে। আর রাজেশের ভূমিকাটা কী? দিবাকর আবার কখনও কখনও রাজেশের হাতে অন্য এক ব্যক্তিকে টাকা পাঠাত বলে জানা হিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। রাজেশ ও দিবাককে ৫ দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।