সংক্ষিপ্ত
- গরিবের দশা থেকে মুক্তি মূক-বধিরের
- ৩০ টাকার লটারি কেটে কোটি টাকা
- হাল ফিরল হারু মাঝির পরিবারের
- ভাঙা ঘর নতুন করে তৈরি করব. বলল হারু
পত্রলেখা বসু চন্দ্র. বর্ধমান- লটারিতে টাকা পেয়ে অনেকেই কোটিপতি হয়েছেন তবে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বামশোর গ্রামের হরি মাঝির গল্পটা একটু হলেও মনে নাড়া দেয়। জন্ম থেকেই মূক ও বধির তিনি। সামান্য কাজটুকুও করতে পারেন না। বিয়ে করেছেন । রয়েছে সন্তান। তবে স্বাচ্ছন্দ কি জিনিস তা দেখেন নি। অভাব-অনটন ছিল নিত্য সঙ্গী। এই মানুষটি ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকা পাওয়ার স্বপ্নও কোনদিন দেখেননি। তবে লাখপতি নয় রাতারাতি হলেন কোটিপতি। ঘুরলো ভাগ্যের চাকা।
আরও পড়ুন-লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ানোর ইঙ্গিত, সমাধান সূত্রের খোঁজে বুধবার রাজ্য়-রেল বৈঠক
সোমবার ছেলের কাছ থেকে একপ্রকার জোর করেই 30 টাকা নিয়েছিলেন হরি মাঝি। কি করবেন তাঁর স্ত্রী ছেলে কেউ জানতেন না।সেই টাকায় বাড়ির কাছেই একটি দোকান থেকে তিনি কিনেছিলেন 5 সেমের লটারি। বিকেল চারটে বাজলেই আলোড়ন চারিদিকে। ওই টিকিটেই পড়েছে এক কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-ভোটের আগে শুভেন্দুর নামে কি নতুন দল, পুরুলিয়ার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান বাড়িয়ে দিল জল্পনা
মূক ও বধির মাঝি আকারে-ইঙ্গিতে বোঝালেন তিনি কতটা আনন্দিত। ভাঙ্গা মাটির বাড়ি। চাল দিয়ে চাঁদের আলো ঘরে এসে পৌঁছায়। সেই চাঁদের আলো যেন আলোকিত এই পরিবার। এই টাকায় একটি বাড়ি করবেন এমনটাই ইচ্ছা প্রকাশ করেছে হরি মাঝি।