সংক্ষিপ্ত

  • বাবাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলেন তিনি নিজেই 
  • ওই বৃদ্ধের অবস্থা সংকটজনক হতেই বেপাত্তা  ছেলে
  • বিপাকে পড়ে প্রশাসনের সঙ্গে দ্বারস্থ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ
  • শোরগোল বর্ধমান শহরে
     

বাবার শারীরিক অবস্থা গুরুতর, ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসার খরচ জোগাবে কে! ওই বৃদ্ধকে নার্সিংহোমে ভর্তি করে ছেলে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ তেমনই। শোরগোল পড়ে দিয়েছে বর্ধমান শহরে। মানবিকতার খাতিরে এখনও রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তবে নার্সিংহোমের তরফে প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
 
রোগীর নাম নিশিথ অধিকারী, বয়স পঁচাশি বছর। গত ৩০ ডিসেম্বর ওই বৃদ্ধকে বর্ধমান শহরের একটি নার্সিংহোমে তাঁর ছেলে বিজয়ই ভর্তি করেন বলে জানা গিয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত নার্সিংহোমে আসতেন তিনি। কিন্তু বাবার অবস্থা সংকটজনক হতেই ছেলে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ।  আর এখন ওই বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে, তাঁকে ভেন্টিলেশনে রেখেছেন চিকিৎসকরা। এদিকে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা করার খরচ তো কম নয়! বিজয়ের দেখা না পেয়ে, তাঁর সঙ্গে ফোনেও চেষ্টা করা হয়, কিন্তু মোবাইল বন্ধ। অন্তত তেমনই দাবি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। শুধু তাই নয়, ওই যুবকের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে আবার পাওনাদারেরাও নার্সিংহোমে আসতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। 

আরও পড়ুন: জমির দলিল ফেরৎ চাওয়ার শাস্তি, শ্বশুর ও শাশুড়িকে বেধড়ক মার বৌমার

জানা গিয়েছে, বাবাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করার সময়ে নিজেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন বিজয়। তাঁকে দেখেও সন্দেহের অবকাশ ছিল না। কিন্তু এখন পাওনাদারদের আনাগোনায় ভুল ভেঙেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। তারা বুঝতে পারছে, অনেকের কাছ থেকেই টাকা নিয়ে আর ফেরৎ দেননি বিজয়। মানবিকতা খাতিরে রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও গোটা ঘটনাটি প্রশাসনকেও জানিয়ে রেখেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।