সংক্ষিপ্ত
- বর্ধমান স্টেশনে মূল ভবন ভেঙে দুর্ঘটনা
- শনিবার রাতে ভেঙে পড়ে স্টেশন ভবনের একাংশ
- ঘটনায় মৃত্যু হয় এক যাত্রীর
- ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার
বর্ধমান স্টেশনের ভেঙে পড়া ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা ছিল কিনা, তা এখনও স্বীকার করতে নারাজ রেল। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলতে নারাজ পূর্ব রেলের কর্তারা। এ দিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে একই কথা জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা।
শনিবার রাত ৮.২০ নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের দোতলা মূল ভবনের একটি বড় অংশ। যে অংশটি ভেঙে পড়ে, সেটির নীচেই ছিল অনুসন্ধান কেন্দ্র। মূল প্রবেশদ্বার সংলগ্ন গাড়ি বারান্দার একাংশই ভেঙে পড়ে। ব্যস্ত সময়ে স্টেশনে বহু যাত্রী থাকায় প্রথমে অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। পরে অবশ্য জানা যায়, ঘটনায় মাত্র দু' জনের গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক যাত্রীর এ দিন সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়। মৃত ওই যাত্রীর নাম, পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন- বর্ধমান স্টেশন কান্ডে মৃত ১, আশঙ্কাজনক আরেকজনের অবস্থা
আরও পড়ুন- বর্ধমানে ভেঙে পড়ছে স্টেশন ভবন, দেখুন সেই ভয়াবহ মুহূর্তের ভিডিও
এই ঘটনার পরই উদ্ধারকাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন এবং রেল। শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, যে ভবনটি ভেঙে পড়েছে, সেটি ১৯০৫ সালে তৈরি। ভবনের বাকি অংশটুকুও কতখানি নিরাপদ, তা নিয়েও সংশয় থাকছেই। আপাতত লোহার বিম বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। এর পরে তদন্ত কমিটি যদি ওই অংশও ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে, তাহলে তাই করা হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার। যদিও, তাঁর দাবি রেলের স্টেশন ভবন থেকে শুরু করে সেতু, সবকিছুরই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। রেল সূত্রে খবর, বর্ধমান স্টেশনের ওই ভবনটিতে সম্প্রতি সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই কাজ চলাকালীনই ভেঙে পড়ল ভবনের একাংশ।
ওই রেলকর্তা আরও জানান, ভেঙে পড়া ভবনের বাকি অংশ কতটা মজবুত, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গেও কথা হয়েছে রেলের। সম্ভবত সেখান থেকেই বিশেষজ্ঞরা এসে ওই ভবনটি মজবুতি পরীক্ষা করে দেখবেন।
এ দিন সকালের মধ্যেই স্টেশন চত্বরের সামনে থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলা হয়। যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও শনিবারের ভয়াবহ বিপর্যয়ের পরে বর্ধমান স্টেশনে ঢুকতেই যেন ভয় পাচ্ছেন যাত্রীরা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার এর মধ্যেই দাবি করেছেন, সতর্কতার অভাবেই বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যে সংস্থা মেরামতির দায়িত্বে ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।