সংক্ষিপ্ত
চলতি শীতের আমেজেই বাজারে আসছে বাংলা মদ মহুল। জঙ্গলমহলের মহুয়ার গন্ধ মেশানো বাংলা মদ মহুল। মাত্র ২৮ টাকায় মিলবে ৩০০ মিলির বোতল
আর মাত্র ১ দিনের অপেক্ষা, তারপরই বিলিতি মদের দাম কমে যাবে ২৫ শতাংশ। সুরাপ্রেমীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি খুশির খবর। ২৫ শতাংশ আবগারি শুল্ক (Excise duty)কমার ফলেই দাম কমেছে বিলিতি মদের। একদিকে যখন দাম কমেছে বিলিতি মদের, তখন অন্যদিকে চলতি শীতের আমেজে বাজারে আসতে চলেছে নতুন বাংলা মদ(Bengali Wine),‘মহুল’(Mohul)। সুত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই শীতের আমেজেই(This winter) মদ্যপায়ীরা এই বাংলা মদের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন। জঙ্গলমহলের মহুয়ার গন্ধ মেশানো বাংলা মদ ‘মহুল’(Mohul)। নতুন এই ব্র্যান্ডের বাংলা মদের ৩০০ মিলিলিটা(300 Ml)র বোতলের দাম হবে ২৮ টাকা(28/-)। শুধু দামের ক্ষেত্রে নয়, গুণগতমানও নাকি মদ্যপায়ীদের কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে। এমনটাই আশা করছে রাজ্যের আবগারি দফতর। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উৎপাদন শুরুর পাশাপাশি অনেক ডিলারদের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে নতুন ব্র্যান্ডের বাংলা মদ(Bengali Wine)।
রাজ্যে চোলাই মদের বেআইনি বিক্রি বন্ধ করার জন্য অনেক আগে থেকেই সস্তায় দিশি মদ বিক্রি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এক বছর আগে ২০২০ সালের শীতে পাউচ প্যাকে মহুয়া-গন্ধি বাংলা মদ আনার পরিকল্পনা ছিল। তখন ঠিক হয়েছিল, পাউচ প্যাকে ২০ টাকায় বিক্রি হবে বাংলা মদ। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এবং কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা হওয়ায় বিষয়টা নিয়ে আর এগোনো হয় নি। আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন সেই মদ তৈরি শুরু হয়েছে। আহমেদপুরের এসকেডি নামক এক সংস্থা এই বাংলা মদ তৈরি করছে। এখন যে সব দিশি মদ বিক্রি হয় তার অর্ধেকেরও কম দামে ‘মহুল’ ব্র্যান্ড পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য এই বাংলা মদে চোলাইয়ের মতো নেশা হওয়ার সম্ভাবনা কম। দফতরের এক কর্তার মতে,দাম আরও কম রাখার জন্য একটা সময় পর্যন্ত ঠিক হয়েছিল পাউচ প্যাকে ২০০ মিলিলিটার মদ ২০ টাকায় বাজারে আনা হবে। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় বলেই ২৮ টাকায় ৩০০ মিলিলিটার এবং পাউচের বদলে প্লাস্টিকের বোতলে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-Tea Blending Banned- ফ্লেভার পাতার সঙ্গে মেশানো যাবে না আমদানি চা, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার বাংলামদের গুণগত মান বাড়ানোর দিকে বরাবরই নজর দিয়েছে। দাদা, দাদাগিরি, চ্যালেঞ্জ নামক বিভিন্ন বাংলা মদকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর ফলে দিশি মদের বিক্রিও বাড়ে। করোনাকালের আগের হিসেব মতো রাজ্য বছরে ৪০ কোটি বোতল দিশি মদ বিক্রি হয়। কিন্তু গুণমান বাড়ানোর জন্য দাম ৫০ টাকার বেশি হয়ে যাওয়ায় বিক্রিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। এখন চেষ্টা চলছে ২৮ টাকার দিশি মদ বিক্রি করে চোলাইয়ের কারবার যাতে বন্ধ করা যায়।