সংক্ষিপ্ত
সরকার-সমর্থিত বিনিয়োগ প্রকল্পগুলিতে রিটার্নের হারও বেশ লাভজনক। প্রায় ছয় থেকে সাত শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে তিনটি সরকারি প্রকল্প। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, প্রধানমন্ত্রী বয়ঃ বন্দনা যোজনা এবং পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম-এ মিলছে এই বিশেষ সুদ।
আপনি নিশ্চই আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে চান। সেই জন্য বিভিন্ন বিনিয়োগ স্কিমের খোঁজ করে থাকেন যেখানে সুদের পরিমান বেশী আর রিটার্নও ভালো পাওয়া যায়। তবে যে কোনও স্কিমে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই ভালো করে যাচাই করে নেওয়া উচিত। সাধারণ মানুষ প্রথাগতভাবে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন সঞ্চয়ের স্কিমের ওপর আস্থা রাখেন। আর সরকারি স্কিম হলে তো কোনও কথাই নেই। চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় যে কোনও সরকারি সঞ্চয়ের স্কিমে। উল্লেখ্য, সরকারি স্কিমে লোকসানের কোনও ভয় থাকে না। বর্তমানে ব্যাঙ্কের সুদের হারের গ্রাফ অনেকটা নিম্নমুখী হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কগুলো তাদের সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে। তবে সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাঙ্ক আবার সুদের হার কিছুটা বাড়িয়েছে। তবে সরকার-সমর্থিত বিনিয়োগ প্রকল্পগুলিতে রিটার্নের হারও বেশ লাভজনক। আজ এই রকমই তিনটি সরকারি প্রকল্পের (Government scheme)কথা বলব যেখানে সুদের হার অনেকটা বেশি। প্রায় ছয় থেকে সাত শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে তিনটি সরকারি প্রকল্প (3 Government Scheme)। দেখে নিন সেই তিনটি সরকারি প্রকল্প কী। সিনিয়র সিটিজেন (senior Citizen) সেভিংস স্কিম, প্রধানমন্ত্রী বয়ঃ বন্দনা যোজনা এবং পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম।
এবার দেখে নেওয়া যাক, সরকারি এই তিন প্রকল্পে কী ধরনের বিনিয়োগ করলে কেমন সুদ পাওয়া যাবে। প্রথমে আসা যাক সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের কথায়। এই স্কিমের নামের মধ্যেই রয়েছে সিনিয়ার সিটিজেনদের সুবিধা লাভের ইঙ্গিত। যেখানে সুদের হার অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্রমশ কমছে সেখানে এই স্কিমে বিনিয়োগ করে সিনিয়ার সিটিজেনরা ৭.৪০ শতাংশ হারে সুদ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই এই যোজনাতেও ৯ বছরে দ্বিগুণ হয়ে যায় টাকা। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগের পর প্রথমে ৩১মার্চ, ৩০ সেপ্টেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর এই ইন্টারেস্ট পাবেন সিনিয়র সিটেজেনরা। পরবর্তীকালে ৩১মার্চ,৩০ জুন, ৩০ সেপ্টেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর সুদ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে ১৫,০০,০০০ টাকা বেশি রাখতে পারবেন না আমানতকারী।
এবার আসা যাক প্রধানমন্ত্রী বয়ঃ বন্দনা যোজনার কথায়। এই স্কিমে বার্ষিক ৭.৪০ শতাংশ সুদের হারে ১০০০ টাকা থেকে ৯২৫০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাওয়া যায়। ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিক এই স্কিমে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। উল্লেখ্য, বিনিয়োগের অঙ্কের ওপরই প্রতি মাসের পেনশন নির্ভর করে। কেউ যদি ন্যূনতম ১.৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা পেনশন পাবেন। একইভাবে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ৯২৫০ টাকা পেনশন পাবেন বিনয়োগকারী। এই স্কিমে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গেও বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের অঙ্ক দাঁড়াবে ৩০ লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর পেনশন হবে মাসিক ১৮,৫০০ টাকা।
পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম হল আরও একটি সরকারি প্রকল্প। এই স্কিমে মোটা অঙ্কের টাকা রাখার সুযোগ পাওয়া যায়। পোস্ট অফিসের এই মান্থলি ইনকাম স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। বর্তমানে এই স্কিমে বার্ষিক ৬.৬ শতাংশ হারে সুদ মিলছে। একবার মেয়াদ শেষ হলে ফের ৫ বছরের জন্য এই টাকা রাখার মেয়াদ বাড়ানো যায়। এই স্কিমেও একা বা যৌথ অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা রাখার সুবিধা পাওয়া যায়। সর্বোপরি এই স্কিমে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত টাকা ফেরতের গ্যারান্টি থাকছে সরকারের।