সংক্ষিপ্ত
- দেশ জুড়ে নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্য়ে করা হয় এই সমীক্ষা
- ১০,০০০ পরিবারের সঙ্গে ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে করা এই সমীক্ষা
- কাঁচা টাকা হাতে পাওয়াই এঁদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
- সঞ্চয়ের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পরিবারের অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করা
দেশ জুড়ে প্রায় ১০,০০০ নিম্ন আয়ের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি কথাবার্তা এবং ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে করা এই সমীক্ষা। এর থেকে উত্তরদাতাদের সঞ্চয়ের অভ্যাসকে কোন কোন বিষয় প্রভাবিত করে তা নিয়ে অনেক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের হাইপারলোকাল ফিনটেক স্টার্ট আপ পে নিয়ারবাই তার প্রথম ‘ইন্ডিয়া সেভিংস বিহেভিয়ার’ রিপোর্টে জানিয়েছে যে যদিও এখন ৮০ শতাংশেও বেশি ভারতীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। তবুও নিম্ন আয়ের আওতায় থাকা ৭০ শতাংশ মানুষ এখনো চিট ফান্ড বা বাড়িতেই টাকা রাখার মত উপায়েই সঞ্চয় করেন। এর প্রধান কারণগুলো মধ্যে আছে চিট ফান্ডগুলোর ঘটনা ও তার প্রভাব আর প্রযুক্তি সম্বন্ধে ভীতি এবং জ্ঞানের অভাব।
এই প্রবণতা শহর এবং গ্রাম, দু জায়গাতেই দেখা গিয়েছে। এই সমীক্ষায় ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন যে তাঁরা প্রচলিত সঞ্চয় প্রকল্পগুলোর দিকে যান নি। কারণ ক্যাশ টাকার যোগান অনিয়মিত। এ বিষয়ে আরও জানা গিয়েছে যে, মূলত আয়ের অনিশ্চয়তা এবং বড় পরিবার চালানোর খরচের কথা ভেবে অনেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রাখতেই হবে এমন সঞ্চয় প্রকল্পে যেতে চান না। ভবিষ্যতের তহবিল তৈরি করার চেয়ে বর্তমানে কাঁচা টাকা হাতে পাওয়াই এঁদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
পঁয়ত্রিশ শতাংশের বেশি উত্তরদাতা সমীক্ষার প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, সঞ্চয়ের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল নিজের এবং পরিবারের অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করা। তাঁদের উদ্দেশ্য আয় থেকে যা বেঁচে যায় তা জমিয়ে একটা মোটা টাকার ব্যবস্থা করা যা দিয়ে জীবনের স্বল্পমেয়াদী ও মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যগুলো পূরণ করা যায়। লিঙ্গ এবং বয়স অনুযায়ী এই লক্ষ্যগুলো একেবারেই আলাদা রকমের। গাড়ী কেনা থেকে শুরু করে সন্তানের শিক্ষার খরচ যোগানো --- সবই এর মধ্যে পড়ে। গয়না কেনা বা জমি কেনা, বাড়ি বানানোও জনপ্রিয় লক্ষ্য হিসাবে উঠে এসেছে।
এই সময়ে ভারতের একটা বড় অংশ জীবনধারণ করতে হিমসিম খাচ্ছে, আর এই ওপেন ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডিবিটি ফান্ডস যার প্রাপ্য তার কাছেই পৌঁছানো নিশ্চিত করতে চায় এই সংস্থা। শুধু অজানা পরিস্থিতির জন্য সেফটি নেট তৈরি করাই নয়, সহনাগরিকরা নিজেদের জীবনের লক্ষ্যগুলো পূরণ করার জন্যও সঞ্চয় করতে পারেন সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখা। সঞ্চয় প্রকল্পগুলোকে সহজ করার প্রয়োজনীয়তা এই সমীক্ষা থেকে বোঝা গিয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে যাতে লেনদেন আরও সহজ হয় তার ব্যবস্থা করা দরকার। শক্ত সামাজিক বাঁধনে থাকা ডিজিটাল প্রধানদের সঙ্গে স্থানীয় খুচরো ব্যবসায়ীর সম্পর্ককে সহজ সঞ্চয় প্রকল্পের আওতায় এনে যাতে ভারতে সুরক্ষিত, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয় এটাই লক্ষ্য।