সংক্ষিপ্ত
পেটিএমের অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেছে ৪৫ হাজার টাকা। এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খুইয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫ টাকা।
বিভিন্ন সময় ব্যআঙ্ক ডাকাতির খবর যেমন শোনা যায় তেমনই অনলাইন লেনদেনেও টাকা লুটের খবরও প্রায়ই উঠে আসে সংবাদের শিরোনামে। ফের এই রকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল মিন্দা গ্রামের বাসিন্দা হনুমান প্রসাদ কুমাওয়াত। তাঁর পেটিএম অ্যাকাউন্ট (Paytm) থেকে হাফিস হয়ে গেল (Lost Large Amount Of Money) মোটা অঙ্কের টাকা। যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে, সেটি হল বিনা ওটিপিতেই (OTP) এই পেটিএম গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে এক নিমেষে উধাও হয়ে গেল ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এই ঘটনায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পেটিএম গ্রাহকদের কপালে। শুধু বিনা ওটিপি-তেই নয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বিয়োগ হওয়ার কোনও এসএমএস(SMS) পর্যন্ত আসেনি। আর এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত পেটিএম গ্রাহকরা। উল্লেখ্য, টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার সময় ওটিপি বা মেসেজ না আসলে কোনও ব্যাক্তির পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। মারুত পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ।
মিন্দা গ্রামের বাসিন্দা হনুমান প্রসাদ কুমাওয়াতের সঙ্গে এই ঘটনা শুধুমাত্র একটা অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই কিন্তু ঘটেনি, একসঙ্গে দুধরনের অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। যার বিন্দু বিসর্গ টের পান নি তিনি। পেটিএমের অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেছে ৪৫ হাজার টাকা আর এয়ারটেল পেমেন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Airtel Payments Bank) থেকে তিনি খুইয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫ টাকা। অনলাইন পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট একদিকে যেমন গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান করে, তেমনই আবার চরম আর্থিক ক্ষতির মুখেও ফেলে দেয় গ্রাহককে। বলা বাহুল্য, দুটি অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা কাটার সময় কোনও রকম এসএমএস বা ওটিপি আসেনি। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খোয়া গেছে এই বিষয়টি বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই কাস্টোমার কেয়ারে ফোন করেন তিনি। তবে তাতে খুব একটা সুরাহা কিছু হয়নি। তবে ১ লাখের কাছাকাছি টাকা আপাতত হোল্ডে রাখা আছে।
আরও পড়ুন-Paytm New Service-আপনার ফোনে পেটিএম থাকলে পেয়ে যাবেন এই বিশেষ পরিষেবাটি
আরও পড়ুন-Google Pay বা PhonePe ব্যবহার করেন, তাহলে UPI পেমেন্ট করার সময় এই ৫টি জিনিস মাথায় রাখুন
এয়ার কর্পোরেট কমিউনিকেশন-র প্রধান শ্রীনিবাসন এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এয়ারটেল কতৃপক্ষ যে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেই বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে মিন্দা গ্রামের বাসিন্দা হনুমান প্রসাদ কুমাওয়াতের টাকা খোয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্কে ওই ব্যাক্তির কোনও অ্যাকাউন্ট নেই, যেটা রয়েছে সেটি হল ওয়ালেট। তবে এই ঘটনা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপগুলো কিন্তু মোটেঅই সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। করোনা পরিস্থিতিতে এই ধরনের অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেকাংশে। সুবিধার পাশাপাশি ক্ষতিরও যে একটা সম্ভবনা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।