সংক্ষিপ্ত
মোট ৭০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ প্রায় হাফ ডজন ক্রিপ্টোকারেন্সির পরিষেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টিলিজেন্স ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর পরই সামনে আসে বিষয়টি।
ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ(Crypto Exchange) সংস্থা Wazirx-র মোটা অঙ্কের কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টিলিজেন্স বা DGGI তরফে গোটা দেশ জুড়ে প্রায় হাফ ডজনেরও বেশি ক্রিপটোকারেন্সির(Cryptocurrency)অফিসে হানা দেয়। বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের তরফে প্রকাশিত এক রিপোর্ট(ANI Report) থেকেই এই তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও সংবাদ সংস্থা এএনআইের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, মোট ৭০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রায় হাফ ডজন ক্রিপ্টোকারেন্সির পরিষেবা প্রদানকারীদের(Crypto Exchage) বিরুদ্ধে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টিলিজেন্স বা DGGI ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিষেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর পরই কর ফাঁকি(GST Evasion) দেওয়ার যে মোট টাকার পরিমান সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টিলিজেন্স বা DGGI মুম্বইতে Wazirx-র বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা মোট ৪০.৫ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। কিন্তু তদন্ত চালানোর পর দেখা যায় সেই টাকার পরিমান আরও বেশ খানিকটা বেশি। ৪৯.২ কোটি টাকার কর ফাঁকি(GST Evasion) দিয়েছে Wazirx । একটি বিবৃতিতে, জানান হয়েছে তারা এই সংস্থার থেকে সুদ এবং জরিমানা সহ নগদ ৪৯.২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে DGGI ।
এএনআইয়ের রিপোর্ট থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টিলিজেন্স বা DGGI বিটসিপার ল্যাবস এলএলপি, নেবলিও টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড, আই ব্লক টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইউনোকয়েন টেকনোলজিসে তদন্ত চালায়। উল্লেখ্য এই সংস্থাগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ করে থাকে। এখানে তদন্ত চালিয়েই কর ফআঁকি দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টিলিজেন্স বা DGGI । সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের তরফে জানা যাচ্ছে, এই সংস্থাগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের ওপর প্রায় ১৮ শতাংশ করে কর ফাঁকি দিয়েছে। এতারা ই সংস্থাগুলোর তরফে অভিযোগ এনে বলা হয়েছে, তারা ডিজিটাল কয়েন এক্সচেঞ্জের ওপর কমিশন নেয় কিন্তু জিএসটি পেমেন্ট করে না। অর্থাৎ কর ফাঁকি দেওয়ার একটা প্রবতা রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ সংস্থাগুলোর ওপর। ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ অফিস গুলোতে তদন্ত চালিয়েই কর ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টিলিজেন্স।
আরও পড়ুন-GST collections in December: ডিসেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ নেমে গেল ১.৩ লক্ষ কোটি টাকার নিচে
আরও পড়ুন-আয়করের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ১ কোটি টাকার জরিমানা হতে পারে ওপো এবং জিওমি-র
সংবাদ সংস্থা এএআই-য়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ অ্যাপ CoinDCX-জানিয়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে গোটা ভারত জুড়ে ডিজিটাল কয়েন ব্যবহারকারীরা বিটকয়েন ও অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার সুযোগ পেয়ে থাকে। ৭.৫ মিলিয়ান ক্রিপ্টো ব্যবহারকারী ও ১ কোটি মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করে প্রায় ৭ বিলিয়ান ক্রিপ্টো কিনেছেন। কয়েন সুইচ কুবের নামক আরেকটি অ্যাপ প্রায় ৫ বিলিয়ান ডলার প্রসেস করেছে। অন্যদিকে ১ মিলিয়ানে বেশী ইউজার রয়েছে বাইইউকয়েনের। বলা বাহুল্য, ২০২১ সালে ক্রিপ্টো লেনদেনে ১৫৪ টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত।