সংক্ষিপ্ত
ণ্যগুলি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে টাটকা থাকবে। ২০২১-২২ সালের মধ্যে এপিইডিএ ৪০০ বিলিয়ন মার্কন ডলার পণ্য দ্রব্য রফতালির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
কেরলের (Kerala) কাঁঠাল (Jackfruit), ঝুমকোলতার ফল (, Passion fruit) আর জায়ফল (Nutmeg) এবার চলে যাবে সুদূর অস্ট্রেলিয়া (Australia) । কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (APEDA) এজাতীয় পুষ্ঠি সমৃদ্ধ ফলের প্রথম রফতানির দরজা খুলে দিল। তাতেই কেলরের প্রত্যন্ত ত্রিশুরের কৃষকদের ফল এবার বিক্রি হবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্নসহ অন্যান্য শহরগুলিতে।
এই পণ্যগুলি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে টাটকা থাকবে। ২০২১-২২ সালের মধ্যে এপিইডিএ ৪০০ বিলিয়ন মার্কন ডলার পণ্য দ্রব্য রফতালির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সংস্থাকে সহযোগিতা করার জন্য এপেডো মূল্য সংযোজন ও স্বাস্থ্যকর পণ্য রফতানির প্রচার করছেন। মঙ্গলবার প্রথম এজাতীয় ফলের রফতানি শুরু হয়েছে। একটি ভার্চুয়ার অনুষ্ঠানের মাধ্যেই এই রফতানির সূচনা হয়।
Taliban: ভারত বিরোধী সুর তালিবান নেতার, মাহমুদ মাজার পরিদর্শন করে কী বললেন হাক্কানি
JIMEX 21: আরব সাগরের বুকে ভারত-জাপান নৌমহড়া, লক্ষ্য বন্ধুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলা
বর্তমানে ফাস্টফুড যুগে বেশ কিছু গ্রাহক স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকেই ঝুঁকছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই কাঁঠাল, ঝুমকোলতা ফলের মত স্বাস্থ্যকর ফলগুলি রফতার ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এজাতীয় ফলগুলি গ্লুটেনমুক্ত , তাই ফাস্টফুডের জায়গা দখল করতে পারবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় উৎপন্ন কাঁঠাল এই দেশে রীতিমত জনপ্রিয়। ২০১৮ সালে এই এলাকায় উৎপাদিত কাঁঠাল কেরলের বিশেষ ফলের তকমা পেয়েছে। ফাইবার প্রোটিন আর ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফল এই দেশের সবথেকে বড় ফলও বটে। এটি নিরামিশাশীদের কাছেও রীতিমত জনপ্রিয়। নিরামিষাশীরা কাঁঠালকে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করে। ফল, বীজ খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। এছাড়াও কাঁঠালপাত, ছাল, ফুল ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। কাঁঠালের উপকারীতা আর চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কাঁঠাল চাষে কৃষকদেরস উৎসাহিত করা হচ্ছে। আগামী বছর কাঁঠালের চাহিদা আরও বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে। আগামী বছর সিঙ্গাপুর, নেপাল, কাতার আর জার্মানিতেও কাঁঠাল রফতানি করা হবে।
ঝুমকোতলা জাতীয় ফলেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন আর ফাইবার রয়েছে। এটিও একটি পুষ্টিকর ফল। ত্বকের পক্ষেও খুব উপকারী। এইজাতীয় ফলগুলি বিদেশের বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই উৎপাদনেও জোর দেওয়া হচ্ছে।