সংক্ষিপ্ত
দেশের ২৪টি বড় আমদানিকারক সংস্থা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। তেমনই ধরা পড়েছে জিএসটি ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্টে।
২৪টি বড় আমদানিকারক সংস্থা ১১ হাজার কোটি টাকার জিএসসি কর ফাঁকি দিয়েছে, এমনটাই ধরা পড়েছে ডিরেক্টর জেনারেল অব জিএসটি ইন্টেলিজেন্স বা DGGI ও ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স বা DRI-এর রিপোর্টে । সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৪ সংস্থার ক্ষেত্রে প্রায় ১১ কোটি কোটি টাকা চুরি ধরা পড়েছে। আমরা এই বিষয়ে সাতটি ইউনিটকে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছি। ২০ দিন আগেই নোটিশগুলি মুম্বই, চেন্নাই ও কলকাতার আমদানিকারকদের কাছে পাঠান হয়েছিল। বাকিদের নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, যেসব সংস্থা কর ফাঁকি দিয়েছে তারা স্টিল, ফার্মাসিউটিক্যালস, জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ও টেক্সটাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
কীভাবে কর ফাঁকি জানা গেল-
অ্যাডভান্সড অ্যানালিটিক্স ইন ইনডাইরেস্ট ট্যাক্সেশন বা ADVIT একটি ডেটা তৈরি করেছে। সেখানেই ধরা পড়েছে এই কর ফাঁকির তথ্য। ইকোনামিক্স টাইমস-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভুলভাবে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট নেওয়ার বেশ কয়েকটি উদাহরণ সামনে এসেছে। আরও বলা হয়েছে, যেখানে ডেটা স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়েছিল ও ফিল্ড গঠন দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল- তাদেরকেই শুধুমাত্র নোটিশ পাঠান হয়েছে। সরকার এখন আমদানিকারক ও রফতানিকারকদের সম্পর্কে নতুন তথ্য ক্যাপচার করার জন্য ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেশন বা ADVITতে নির্ভর করে। অ্যাডভান্সড অ্যানালিটিক্সকে আরও শক্তিশালী করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
সরকার কি পরিবর্তন করতে পারে-
আলোচনা করা পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হল আর্থিক বছরের জন্য নির্বাচিত এখতিয়ারের অধীনে করদাতাদের দ্বারা প্রদত্ত করের তুলনা রিপোর্ট, GSTR-৯এ প্রদেয় কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কর্মকর্তারা এখন সরবরাহের স্থান, করের পরিমাণ ও ব্যবহার করা খাতা এক জায়গায় দেখতে পারেন। যাতে তারা তাদের করদাতাদের ড্যাশবোর্ডের অধীনে করদাতাদের দ্বারা প্রদত্ত টাকা দেওয়ার গোটা ছবিটাই একই সঙ্গে দেখতে পারেনয
যাইগোক সরকার জাল চালান, জাল জিএসটি নিবন্ধন ও ভুল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সনাক্ত করতে ১৬ মে থেকে আগামী দুই মাসের জন্য একটি কঠোর অভিযান চালাবে।