সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় অর্থনীতির ১০টি পরিবর্তন ৪ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভারতকে। সরবরাহ-সদৃশ্য নীতি সংস্কার ,অর্থনীতির ওপর জোর , রিয়েল এস্টেস আইন গুরুত্বপূর্ণ।

গত এক দশকে ভারতের অর্থনীতির অমূল পরিবর্তন হয়েছে। যারমধ্যে ১০ পরিবর্তন এনমন যা দেশের মাথাপিছু আয়কে দ্বিগুণ করতে ও রফতানি বাজারকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কর্পোরেটদের মুনাফা বেড়েছে। অর্থনৈতিক সূচকের স্বাস্থ্যসম্মত উন্নতি হয়েছে। তেমনই দাবি করেছে মরগান স্ট্যানলি ইন্ডিয়া। সম্প্রতি সংস্থা'হাউ ইন্ডিয়া হ্যাজ ট্রান্সফর্মড ইন লেস দ্যা ডিকেড' নামে একটি প্রতিবেদনে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ভারতকে ৪ ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।

রিধাম দেশাই, মরগান স্ট্যানলি ইন্ডিয়ার প্রধান বলেছেন, ভারত যে কম পারফরম্যান্স করছে - বিশ্বের এই মতামত বর্তমানে বদলে গেছে। 'ভারত সম্পর্কে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের মতামত পরিবর্তন হয়েছে। যা ভারতকে প্রাপ্য সুযোগ দিচ্ছে।'বিশ্বের বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে ভারতের স্থান গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সাল থেকেই এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

যে ১০টি ক্ষেত্র ভারতের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনছে তা হলঃ

অর্থনীতিতে পরিবর্তনের প্রভাবঃ

পরিবর্তনের প্রাথমিক প্রভাব হল ডিজিপির অনুপাতে উৎপাদন ও ক্যাপেক্সের স্থির বৃদ্ধি। মরগান স্ট্যানলি অনুমান করছে উভয় ক্ষেত্রেই শেয়ার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ভারতের রফতানি বাজারের অংশ ২০৩১ সালের মধ্যে ৪.৫ শতাংশ বাড়বে, যা ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হবে। মাথাপিছু আয় আগামী দশকের মধ্যে ৫.২০০০ ডলারে পৌঁছে যাবে। প্রতিবেদনে আশা করা হয়েছে আগামী ১০ বছরে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। ভারতের প্রকৃত বৃদ্ধির গড় ৬.৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে। ২০৩১ সালে ভারত ৪ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

অর্থনীতি পরিবর্তনের প্রভাব

আগামী ১০ বছরে ভারতের প্রকৃত বৃদ্ধির গড় ৬.৫ শতাংশ হবে

২০৩১ সালের ৪ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হবে ভারত

পরিকাঠামো রূপান্তরটি সঞ্চয় ও বিনিয়োগে গতিশীলতা আনবে। দেশের বাহ্যিক ব্যালান্সশিটকে আরও শক্তিশালী করবে। দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার বাজারে প্রভাব

অর্থনীতির এই পরিবর্তন দেশের শেয়ার বাজারে প্রভাব বিস্তার করবে। শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করবে। স্টকের জন্য চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। ছাড়াও, GST-এর ক্রমবর্ধমান সংগ্রহ -- অভিন্ন কর যা এক ডজনেরও বেশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের করের প্রতিস্থাপন করেছে -- এবং GDP-এর শতাংশ হিসাবে ডিজিটাল লেনদেনের ক্রমবর্ধমান শেয়ার অর্থনীতির আনুষ্ঠানিকতা নির্দেশ করে৷

কয়েক বছরের মধ্যে, ভারত ডিজিটাল লেনদেন এবং রিয়েল-টাইম অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রেও বিশ্বব্যাপী নেতা হয়ে উঠেছে। যা ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্বের পুঁজির ওপর ভারত বর্তমানে অনেক কম নির্ভর করে। আর সেই কারণেই মার্কিন মন্দা ও মার্কিন অর্থনৈতিক ফেডের প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতে তেমনভাবে পড়বে না। সেই কারণে বিশ্বাব্যাপী মন্দার আঁচ ভারতে তেমনভাবে এখনও লাগেনি।

রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে ২-২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের একটি খণ্ডিত ফলাফল, সরবরাহ বিভ্রাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের তীব্র বৃদ্ধি, দক্ষ শ্রমিক সরবরাহের ঘাটতি ভারতীয় অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সাময়িক বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আরও পড়ুনঃ

নেপাল-ভারত নতুন ল্যান্ডপোর্টের উদ্বোধন মোদী-প্রচণ্ডর হাতে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ়় করতে উদ্যোগ

Fuel Price: মাসের প্রথম দিন কলকাতায় কতটা বাড়ল পেট্রোল আর ডিজেলের দাম? জানুন দেশের বাকি ৩ শহরের দামও

২০২২-২৩ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৯.১ থেকে ৭.২% এ নেমে আসবে, বলছে রিপোর্ট