সংক্ষিপ্ত
বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা সরকারি কর্মীদের মতো সবরকম সুবিধা না পেলেও, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটির মতো সুবিধাগুলি পেয়ে থাকেন। সব কর্মীরই এই আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য।
বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা অন্তত ৫ বছর কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে দিলে সংস্থার পক্ষ থেকে অন্যান্য আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি গ্র্যাচুইটিও পেয়ে থাকেন। সব সংস্থাই কর্মীদের এই সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত আইনের ব্যাপারে অনেক সময়ই কর্মীদের স্পষ্ট ধারণা থাকে না। এর সুবিধা নিয়ে অসাধু উচ্চ পদাধিকারীরা কর্মীদের বঞ্চিত করার সুযোগ পেতে পারেন। সেই কারণে সবারই ১৯৭২ সালের গ্র্যাচুইটি আইন সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এই আইন জানা থাকলে কোনও কর্মীই প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। সাধারণভাবে কর্মীরা কোনও একটি সংস্থায় টানা ৫ বছর কাজ করলে তারপরেই গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন। তবে এই নিয়মের ব্যতিক্রমও আছে। সংস্থাভেদে টানা ৫ বছর কাজ না করলেও অনেক সময় গ্র্যাচুইটি দাবি করা যায়। সংশ্লিষ্ট সংস্থা যদি সেক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি দিতে রাজি না হয়, তাহলে সরকারি নিয়ম কাজে লাগিয়ে এই সুবিধা দাবি করা যায়।
১৯৭২ সালের গ্র্যাচুইটি আইন অনুযায়ী, কোনও কর্মী যদি ৪ বছর ৮ মাস কাজ করে অন্য সংস্থায় যোগ দেন, তাহলেও গ্র্যাচুইটি দাবি করতে পারেন। সংস্থা অবশ্য ৫ বছর পূর্ণ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে গ্র্যাচুইটি দিতে রাজি না হতেই পারে, তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানানোর সুযোগ পেতে পারেন কর্মীরা। গ্র্যাচুইটি আইনে বলা আছে, এই আর্থিক সুবিধা পেতে হলে একটি সংস্থায় টানা ৫ বছর কাজ করতে হবে। তবে কোনও সংস্থায় যদি প্রতি সপ্তাহে ৫ দিন করে কাজ হয়, তাহলে কোনও কর্মী ৪ বছর ১৯০ দিন কাজ করার পরেই গ্র্যাচুইটি দাবি করতে পারেন। কোনও সংস্থায় যদি প্রতি সপ্তাহে ৬ দিন করে কাজ করতে হয় কর্মীদের, তাহলে ৪ বছর ২৪০ দিন পরে গ্র্যাচুইটি দাবি করা যায়।
গ্র্যাচুইটি আইনের ৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও কর্মী যদি একটি সংস্থায় টানা ৪ বছর ৬ মাস কাজ করেন, তাহলে তিনি গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন। শুধু কোনও কর্মী চাকরি ছেড়ে দিলেই গ্র্যাচুইটি দাবি করার অধিকারী হন না, মৃত্যু হলে, দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার কারণে কাজ চালিয়ে যেতে অক্ষম হলে, কাজ থেকে অবসর নিলেও গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে ৫ বছরের নিয়ম কার্যকর হয় না। অবসর নেওয়ার পর কর্মীরা এমনিতেই গ্র্যাচুইটি পেয়ে থাকেন। তবে কোনও সংস্থায় শিক্ষানবিশ বা অস্থায়ী কর্মীরা গ্র্যাচুইটি দাবি করতে পারেন না।
আরও পড়ুন-
UPI: ভারতের ইউপিআই সিস্টেম দেখে মুগ্ধ জার্মানির মন্ত্রী, দেখুন ভিডিও
Sonu Sood : হিংসাবিধ্বস্ত নুহতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ডাক অভিনেতা সোনু সুদের