সংক্ষিপ্ত

ভারতের বড় পাঁচটি এফএমসিজি সংস্থা বিস্কুট সহ একাধিক জিনিসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোকো, ময়দা, চিনির দাম বৃদ্ধির কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি।

এফএমজিসি (FMGC) বা ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস সংস্থাগুলি বিস্কুট -সহ একাধিক জিনিসের দাম বাড়াতে চলেছে। ভারতের পাঁচটি বড় FMGC সংস্থা বৈঠক করেছে। দাম বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছে। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম ৪-১০ শতাংশ বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটানিয়াঃ

ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের বরুণ বেরি বলেছেন, আগামী মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪-৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই তাদের জিনিসের দাম বাড়াতে হচ্ছে। এতদিন ধরে দাম না বাড়িয়ে জিনিস বিক্রি করা হয়েছএ। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব নয়।

ডাবর

ডাবরের প্রধান এক্সিকিউটিভ মোহিত মালহোত্রা বলেছেন, খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির কারণে আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি। ২ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করা হতে পারে। চলতি বছরই ডাবর তাদের পণ্যের দাম ৬ শতাংশ বাড়িয়েছিল।

পার্লে

পার্লে প্রোডাক্টসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়াঙ্ক শাহও স্বীকার করেছেন যে চিনি ও কোকোর দাম বাড়ার কারণে তাদের পণ্যের দামও বাড়াতে হবে। এরই মধ্যে কোম্পানিটি তার কয়েকটি ব্র্যান্ডের রেট বাড়িয়েছে। চিনি, ময়দা, কোকো কোম্পানির প্রধান কাঁচামাল এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে দর বৃদ্ধির পথ নিতে হবে। তবে, কোভিডের সংকটের কারণে এই বৃদ্ধি যতটা করা হয়েছিল ততটা হবে না।

তিনটি কারণে মূল্যবৃদ্ধি

সংস্থাগুলি তাদের পণ্যের দাম ৪-১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। কোকো, ময়দা, চিনির দাম বেড়েছে। সেই কারণে তারা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে দুই বছরে চিনির দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। আটা বা ময়দার দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধি শুধু এই দেশেই গোটা বিশ্বেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। গত দুই বছরে

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতির ঘোষণার মধ্যে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি আরবিআই-এর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। খাদ্যে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারে ৪৬ শতাংশ গুরুত্ব ধরে রেখেছে। মে ও জুনের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হারে কেবল খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ৭৫ শতাংশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।