- Home
- Business News
- Other Business
- ঘরে বসে প্রতি মাসে আয় করতে পারেন ৬০,৯৮৯ টাকা, লাগবে না ট্যাক্স, জেনে নিন কীভাবে
ঘরে বসে প্রতি মাসে আয় করতে পারেন ৬০,৯৮৯ টাকা, লাগবে না ট্যাক্স, জেনে নিন কীভাবে
- FB
- TW
- Linkdin
পিপিএফ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী জিনিস জেনে রাখুন। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর জমা করা টাকার পরিমাণ আয়কর থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত। এর থেকে অর্জিত সুদও করযোগ্য নয় এবং ম্যাচিউকিটির সময় প্রাপ্ত সম্পূর্ণ টাকার পরিমাণও আয়করের আওতায় আসে না।
খুব জনপ্রিয় সেভিংস স্কিম হল পিপিএফ। তা যে কোনও পোস্ট অফিস বা কোনও ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে খুলতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্টে প্রতি আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বাধিক ১,৫০,০০ টাকা জমা করতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হলে পিপিএফ-এ টাকা রাখার পর কীভাবে অবসর গ্রহণের পর প্রায় ৬১,০০০ টাকা পেনশন পেতে পারেন।
কারও বয়স যদি ৩৫ বছর হয়। এই আর্থিক বছরের শুরুতে সে যদি একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ওপেন করে ১,৫০,০০০ টাকা জমা করে তাহলে পরের বছর ৩১ মার্চ সেই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ হিসেবে ১০,৬৫০ টাকা পাবে।
কারণ নরেন্দ্র মোদি সরকার পিপিএফ-এ বিনিয়োগের পর তাতে ৭.১ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। তাহলে ৩১ মার্চ ২০২৬ সালে সেই সুদের হার হবে ২২,০৬৫ টাকা। ব্যালেন্স হবে ৩,৩২,৭০৬ টাকা। তাই বছরে ১,৫০,০০০ টাকা পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জম করতে হবে।
এভাবে বিনিয়োগ করলে ১৫ বছর পর আপনার সেই পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৪০,৮৬,২০৯ টাকা হবে। যার মধ্যে ১৮,১৮,২০৯ টাকা সুদ। মূল বিনিয়োগ হবে ২২,৫০,০০০ টাকা।
তাই ৩৫ বছর বয়সে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ওপেন করার পর ৫০ বছর বয়সে তা ম্যাচিউরিটির সময় হবে। এরপর পিপিএফ অ্যাকাউন্টটি ম্যাতিওর হবে যখন আপনার ৫৫ বছর হবে। সেই সময় পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকার পরিমাণ হবে ৬৬,৫৮,২৮৮ টাকা। তার মধ্যে সুদ ৩৬,৫৮,২৮৮ টাকা। মোট বিনিয়োগ হবে ৩০,০০,০০০ টাকা।
তারপর যদি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ৫ বছরের জন্য প্রসারিত করতে হবে এবং আগের মতো প্রতি বছর বিনিয়োগ করতে হবে। এর দরুন আপনি ৬১,০০০ টাকা মাসিক পেনশন পেতে পারেন।
এখন জানতে হবে পিপিএফ অ্যাকাউন্টের এক্সটেনশন সম্পর্কিত নিয়ম কী আছে। কেউ যখনই নিজেদের পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বাড়াবে, তার কাছ দুটি বিকল্প থাকবে। প্রথমত, বাড়ানোর পর বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে। দ্বিতীয়ত, এক্সটেনশনের পর বিনিয়োগ করা হবে না। এমন উপায় মিলবে উপকার। মাসে ৬১,০০০ টাকা পেনশন পেতে পারেন।