সংক্ষিপ্ত

জীবনের অনিশ্চয়তার সময়ে, সরকার বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।

অবসর গ্রহণের পর, অনেক বয়স্ক নাগরিক বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন, আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত। জীবনের এই দুর্বল সময়ে তাদের সহায়তা করার জন্য, সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য কি কি সুবিধা রয়েছে দেখে নেওয়া যাক।

১. উচ্চ সুদের হার
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তুলনায়, বয়স্ক ব্যক্তিরা স্থির আমানত এবং সঞ্চয়ী खाताগুলিতে বেশি সুদ পান। বয়স্ক নাগরিকরা সাধারণ FD-এর তুলনায় ০.২৫% থেকে ০.৭৫% বেশি সুদ পেতে পারেন।

২. আয়কর ছাড়
বয়স্ক ব্যক্তিরা বিভিন্ন কর ছাড় পেতে পারেন। ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা, এবং ৮০-এর উপরে বয়সীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা। তাদের স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের জন্য ২৫,০০০ টাকার পরিবর্তে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। যদি বয়স্ক নাগরিকদের স্বাস্থ্য বীমা না থাকে, তাহলে ধারা ৮০ডি-এর অধীনে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচের জন্য ছাড় পাওয়া যায়।

৩. পেনশন প্রকল্প
বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা বেশ কিছু পেনশন প্রকল্প আছে, যেমন সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS) এবং জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা (NPS)। উদাহরণস্বরূপ, SCSS-এর জন্য প্রধান যোগ্যতার মান হল खाताধারীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। যদিও, ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী, কিন্তু ৬০ বছরের কম বয়সী, যারা সুপারঅ্যানুয়েশন বা VRS-এর অধীনে অবসর নিয়েছেন, তারাও खाता খুলতে পারেন।

৪. বাংকিং পরিষেবা বাড়িতে
RBI-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, বয়স্ক নাগরিক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থ বা চেক লেনদেন, ডিমান্ড ড্রাফ্ট ইত্যাদি পরিষেবা বাড়িতে প্রদান করতে হবে।

৫. স্বাস্থ্য বীমা
বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বয়স্ক নাগরিকদের চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি বিস্তৃত সুরক্ষা প্রদান করে এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দেয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।