ক্রেডিট কার্ডের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে, গ্রাহকদের কী কী বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত? 

ক্রেডিট কার্ড বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত। জরুরি প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুবিধার জন্য ক্রেডিট কার্ড জনপ্রিয়। কিন্তু সবাই কি ক্রেডিট কার্ড সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানেন? অনেকেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে থাকেন কারণ ৫০ দিন পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণের সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু বিল পরিশোধে দেরি হলে কী কী জরিমানা ভোগ করতে হয় জানেন কি? 

দেরীতে বিল পরিশোধের জরিমানা 

ঋণের সীমার বাইরে গিয়ে খরচ করলে এবং নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ন্যূনতম পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে, দেরীতে বিল পরিশোধের জন্য জরিমানা দিতে হয়। মোট বকেয়া অর্থের উপর ভিত্তি করে এই জরিমানা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার মোট বকেয়া ২০০০ টাকা হয়, তাহলে ১০০ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত বকেয়ার জন্য ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ন্যূনতম পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করলে জরিমানা এড়ানো যায়। তবে বকেয়া অর্থের উপর সুদ প্রযোজ্য হবে।

সুদের হার

অনেকেই মনে করেন, মোট বকেয়া অর্থের ন্যূনতম পরিমাণ পরিশোধ করলেই চলবে। কিন্তু, যখন আপনি মোট বকেয়া অর্থের চেয়ে কম পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেন, তখন সুদ প্রযোজ্য হয়। ২০% থেকে ৪৪% পর্যন্ত সুদ বা অর্থায়ন চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে কার্ড অনুযায়ী।

ক্রেডিট কার্ডের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে, গ্রাহকদের কী কী বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত? 

নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে পারবেন এমন পরিমাণ অর্থই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করুন

শুধুমাত্র ন্যূনতম পরিমাণ অর্থ নয়, সম্পূর্ণ বকেয়া অর্থ নির্দিষ্ট তারিখের আগেই পরিশোধ করুন

বকেয়া অর্থ বেশি হলে, ইএমআই-তে রূপান্তর করে কিস্তিতে পরিশোধ করুন

নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন না। কারণ নগদ টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সুদমুক্ত সময়কাল প্রযোজ্য নয়

সম্পূর্ণ ঋণ সীমা ব্যবহার করবেন না। এটি আপনার ঋণের স্কোরকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে এবং ভবিষ্যতে ঋণ পাওয়া কঠিন করে তুলবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।