সংক্ষিপ্ত

জালিয়াতির মূল হোতাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিজিএসটি আইনে পর্যাপ্ত আইনি বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী।

এপ্রিল-অক্টোবর সময়কালে ১৭,৮১৮টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৫,১৩২ কোটি টাকার ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট জালিয়াতির ঘটনা জিএসটি কর্মকর্তারা ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে। এই অপরাধে জড়িত ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সরকার সংসদকে জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কর্মকর্তাদের ডেটা অ্যানালিটিকস এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিয়মিত তদন্তের মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলিকে চিহ্নিত করা হবে বলে লোকসভায় লিখিত জবাবে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। ভুয়া প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করার জন্য ১৬ আগস্ট থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে বলে মন্ত্রীর জবাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সংক্রান্ত জালিয়াতি ধরা পড়ার ফলে সরকার ৬,৪৮৪ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছে। ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বন্ধ করার মাধ্যমে ৫,৪২২ কোটি টাকা এবং টো টাকা আদায়ের মাধ্যমে ১,০৬২ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। জালিয়াতির মূল হোতাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিজিএসটি আইনে পর্যাপ্ত আইনি বিধান রয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট কি?

পণ্যের উপর কর পরিশোধের সময়, পণ্যের ইনপুটের জন্য ইতিমধ্যে প্রদত্ত কর বাদ দেওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, আউটপুটের (চূড়ান্ত পণ্য) জন্য প্রদেয় কর ৪৫০ টাকা।
ইনপুটের জন্য প্রদেয় কর ৩০০ টাকা। ৩০০ টাকার ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দাবি করা যায়, এবং মাত্র ১৫০ টাকা কর দিতে হয়।

কিভাবে জালিয়াতি করা হয়?

ভুয়া ক্রেডিট পাওয়ার জন্য, অস্তিত্বহীন লেনদেন দেখিয়ে টো টাকা আত্মসাৎ করা হয়। অনুমোদিত নয় এমন ব্যয়ের উপর ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দাবি করা আরেকটি পদ্ধতি। ইনভয়েসে জালিয়াতি করে প্রকৃতপক্ষে প্রদত্ত টাকার চেয়ে বেশি টাকার উপর ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দাবি করার ঘটনাও লক্ষ্য করা গেছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।