সংক্ষিপ্ত

প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী এই জালে আপনিও খোয়াতে পারেন যে কোনও সময়ে আপনার ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। যদিও এই বিষয়ে একাংশের মত আপাতত লক করে রাখুন বায়োমেট্রিক তথ্য।

 

আঙ্গুলের ছাপের সাহায্যে ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। নতুন এই ছকের সাহায্য শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে ছকের সাহায্যে ইতিমধ্যই একাধিক ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট লুট করেছে সাইবার দুষ্কৃতিরা। প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী এই জালে আপনিও খোয়াতে পারেন যে কোনও সময়ে আপনার ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। যদিও এই বিষয়ে একাংশের মত আপাতত লক করে রাখুন বায়োমেট্রিক তথ্য।

এখন আপনার সবার আগে যে কোনও জায়গায় বায়োমেট্রিক দেওয়ার পর দ্বায়িত্ব নিয়ে নিজেকেই সেটা ওয়াইপ আউট অর্থাৎ পরিষ্কার করে দিতে হবে। যাতে আপনার বায়োমেট্রিক দেওয়ার পর কেউ সেই ছাপের অপব্যবহার না করতে পারে। এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে আপনাকেই। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে কোন কোন জায়গায় আপনাকে বায়োমেট্রিক দিতে হচ্ছে। কারণ ‘আধার এনেব্লবড পেমেন্ট সার্ভিস’ (এইপিএস) পদ্ধতিতে ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে গেলে তার নোটিফিকেশন পর্যন্ত আসেনা অনেকক্ষেত্রেই। তাই আপনার অজান্তে কখন যে আপনার ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যাবে তা আপনি টেরও পাবেন না।

আরও বড় চিন্তার বিষয় হল কোনও দিন এইপিএস পরিষেবার সুবিধা নেননি এমন ব্যক্তির ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই টাকা খোয়া যাচ্ছে বা আপনার টাকা আপনি ফেরৎ পাবেন কি না এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক বা প্রশাসন থেকে আধার কর্তৃপক্ষ কেউই কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না। তাই আপনার টাকার সুরক্ষার দ্বায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। এটিএম-এ টাকা তুলতে যাওয়ার সময় থেকে অনলাইনে কেনাকাটার সময় সব ক্ষেত্রেই থাকতে হবে সতর্ক।