CSP: ব্যাংকে কাজ না করেও ব্যাংকিং পরিষেবা আপনি পৌঁছে দিতে পারেন লোকের দোরগোড়ায়। এতে আপনার ইনকামও বাড়বে, বাড়বে ব্যাংকিং পরিষেবার সহজলভ্যতা।

CSP: গ্রাম, মফস্বল বা বা শহরের প্রান্তিক দিকগুলিতে বেশ কিছু অঞ্চলে এখনও ব্যাংকিং পরিষেবা সহজলভ্য নয়, তৈরি হয়নি ব্যাংকের শাখা। এই সমস্যার সমাধান করতেই চালু হয়েছে CSP। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে এই CSP-এর প্রচলন বেশি।

এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে থেকে আপনাও যদি কম বিনিয়োগে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকার বেশি আয় করে কোনো ব্যবসা করার কথা ভাবছেন, তবে এই CSP হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ। যথেষ্ট লাভজনক ব্যবসায়িক উদ্যোগ এটি। চলুন জেনে নিই এই সিএসপি কী, কেন, কিভাবে এবং কতটা লাভজনক পরিষেবা হিরে পারে আপনার জন্য।

CSP কী?

CSP বা Customer Service Point হল ব্যাংকের একটি মিনি ব্রাঞ্চ , যা সাধারণত এমন জায়গায় খোলা হয়, যেখানে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক নেই। এটি মূলত গ্রামীণ বা মফস্বল অঞ্চলে ব্যাংকিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার একটি ব্যবস্থা। এখানে এটিএমের মতো টাকা জমা ও তোলা, নতুন সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা, টাকা পাঠানো (Fund Transfer), মোবাইল ও DTH রিচার্জ, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল জমা দেওয়া, প্যান কার্ড আবেদন, ইন্স্যুরেন্স ও মিউচুয়াল ফান্ড -এসবের মতো পরিষেবা পাওয়া যায়।

পশ্চিমবঙ্গে সিএসপি দিচ্ছে যেসব ব্যাংক

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক সিএসপি খোলার সুযোগ দিচ্ছে। এগুলি নিজস্ব এজেন্সি অথবা ব্যবসায়িক সহযোগীর মাধ্যমে সিএসপি পরিচালনা করে। ব্যাঙ্কগুলি হল - * এসবিআই (SBI) * পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB) * ব্যাঙ্ক অফ বরোদা (BOB) * ইউকো ব্যাংক * ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক - ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (BOI) * আইসিআইসিআই ব্যাংক * এইচডিএফসি ব্যাংক * এক্সিস ব্যাংক

সিএসপি খুলতে কী যোগ্যতা লাগে?

১৮ বছর বয়সের পর যেকোনো ভারতীয় নাগরিক হলেই সিএসপি খোলার আবেদন করা যায়। ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস করতে হবে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকতে হবে এবং নিজস্ব বা ভাড়ায় একটি দোকান ঘর থাকতে হবে।

কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

সিএসপির জন্য আবেদন করতে হলে কে জরুরি ডকুমেন্ট জন্য দিতে হয় সেগুলি হল - * ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড, * প্যান কার্ড, * পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট, * ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, * পাসপোর্ট সাইজের ছবি

ইনকামের উপায় কী?

CSP এজেন্টরা মূলত কমিশনের ভিত্তিতে আয় করেন। আপনি যে পরিষেবাই দিন না কেন, তার বিনিময়ে ব্যাংক বা কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন দেয়। যেমন - টাকা জমা ও তোলার সময় প্রতি লেনদেন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কমিশন, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য নির্দিষ্ট কমিশন,, মোবাইল বা DTH -এর প্রতিটি রিচার্জে কমিশন, বিল পেমেন্টের প্রতি ট্রানজাকশনে কমিশন, প্রতিটি প্যান কার্ড আবেদনে নির্দিষ্ট কমিশন, ইন্স্যুরেন্স বা মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি ও পলিসি অনুযায়ী কমিশন পাবেন আপনি।

উপার্জন কী রকম হতে পারে ?

সিএসপি থেকে আয় নির্ভর করে আপনার পরিষেবার পরিমাণ ও গ্রাহক সংখ্যার উপর। ভালো গ্রাহকের আনাগোনা এবং নিয়মিত পরিষেবায় ৩০-৪০ হাজার টাকা বা তার বেশিও উপার্জন হতে পারে।

কোথায় আবেদন করবেন?

সরাসরি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অনুমোদিত ব্যবসায়িক কোরেসপন্ডেন্ট কোম্পানি (Business Correspondent/BC) -র মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। কিছু নামি CSP কোম্পানি আছে, যেমন -

* Digital India CSP * PayNearby * Spice Money * Grahak Seva Kendra * Oxygen CSP

সতর্কতা

ভুয়ো ওয়েবসাইট, এজেনসি ও প্রতারক এজেন্ট থেকে সাবধান থাকুন। অফিসিয়াল ব্যাংক বা অনুমোদিত BC-র মাধ্যমেই আবেদন করুন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।