সংক্ষিপ্ত

বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি মাসে হোম লোনের ইএমআই দিতে  সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আম জনতাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে ইএমআই দিতে সমস্যায় পড়লে ঋণ খেলাপি বা ডিফলটার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন জেনে নিন সেই নিয়মগুলি।

 

করোনা মহামারীর সময় থেকেই প্রবল অর্থ সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত মানুষদের। এই সময় বিপুল সংখ্যক মানুষকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলেছে। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। চিকিৎসার জন্য মানুষকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে। এতে তার সঞ্চয় শেষ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সেইসব মানুষদের যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন।

ভাল ক্রেডিট হিস্ট্রি এবং ভাল বেতনের কারণে, লোকেরা ব্যাংক থেকে গৃহঋণ নিয়ে বাড়ি কিনেছিল। এখন তাদের জন্য ইএমআই পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি মাসে হোম লোনের ইএমআই দিতে হবে পাশাপাশি সংসার চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আম জনতাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে ইএমআই দিতে সমস্যায় পড়লে ঋণ খেলাপি বা ডিফলটার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন জেনে নিন সেই নিয়মগুলি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোনও কারণে আপনি যদি এক বা দুটি ইএমআই দিতে মিস করেন তবে কোনও বড় সমস্যা নেই। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের মৃদু সতর্কবার্তা দিয়েছে ব্যাঙ্ক। কিন্তু, আপনি যদি টানা তিন মাস ইএমআই না দেন, তাহলে ব্যাঙ্ক এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেয়। ব্যাংক এটি ঋণের খেলাপি হিসাবে বিবেচনা করে। এরপর গ্রাহককে খেলাপির তালিকায় রাখা হয়। তাই যখনই আপনি বুঝবেন যে পরবর্তী মাস থেকে আপনার লোনের ইএমআই দিতে সমস্যা হতে পারে। তাই ইএমআই বাউন্স হওয়ার আগে থেকেই ব্যাঙ্কের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিন। 

 এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাঙ্ক আপনাকে কিছু অপশন দেবে যেমন ১) ৩-৬ মাসের মত কিছু সময় দিতে পারে ২) লোন রিস্ট্রাকচার করতে পারে ৩) রি ফাইনান্স করতে পারে। তবে কোনও ভাবেই ৩ টে ইএমআই বাউন্স হতে দেবেন না। এর আগেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন লিখিত আবেদন জমা করুন।

আরও পড়ুন- এই সরকারি স্কিমে একবার ইনভেস্ট করলেই প্রতিমাসে মিলবে পেনশন, কীভাবে বিনিয়োগ করবেন

আরও পড়ুন- বাড়তে চলেছে এই লোনগুলির ইএমআই ? ৫ লক্ষের বেশি ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা

আরও পড়ুন- Oil Price: এক নজরে কলকাতা ও দেশের বাকি অংশে পেট্রোল আর ডিজেলের দাম দেখে নিন

এছাড়া যখনই হাতে কিছু টাকা আসবে কিছু সংখ্যক অর্থ লোন একাউন্টে জমা করে দিন। তবে ব্যাঙ্ক আপনাকে ঋণ খেলাপি বা ডিফলটার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। সমস্যা আসার আগেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। লোন দিতে পারছেন না বলে ব্যাঙ্কের কল রিসিভ না করা মেইল বা চিঠির উত্তর না দেওয়াই দোষের। নিজের সঠিক সমস্যা ও কারণ ব্যাঙ্কে জানান ও নিয়মিত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন তবেই আপনি ভবিষ্যতে আবারও ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিতে পারবেন।