- Home
- Business News
- Other Business
- ৫০,০০০ টাকা মাইনে পেলেও জমাতে পারবেন ১ কোটি! এভাবে সঞ্চয় করুন, মিলবে মোটা লাভ
৫০,০০০ টাকা মাইনে পেলেও জমাতে পারবেন ১ কোটি! এভাবে সঞ্চয় করুন, মিলবে মোটা লাভ
জীবনে এক কোটি টাকা জমানো অনেকেরই স্বপ্ন। কিন্তু আয় থাকলেও সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার অভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ১৫ বছরে এক কোটি টাকা কিভাবে জমানো যায় সেই প্রশ্নের উত্তর চ্যাটজিপিটি কিভাবে দিয়েছে দেখে নেওয়া যাক।

মাসিক ৫০,০০০ টাকা বেতন
ধরা যাক একজন ব্যক্তির মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা। তিনি আগামী ১৫ বছরে ১ কোটি টাকা জমাতে চাইলে, সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। আয়, ব্যয়, বিনিয়োগ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সকল দিক বিবেচনা করতে হবে।
মাসিক কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে?
আগামী ১৫ বছরে এক কোটি টাকা জমানোর জন্য মাসিক কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে। এসআইপি (Systematic Investment Plan) এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে তা সম্ভব। মিউচুয়াল ফান্ড/ইকুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করলে কমপক্ষে ১২ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পাওয়া যায়। মাসিক ২০,০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করলে কম্পাউন্ড বার্ষিক প্রবৃদ্ধিতে ১৫ বছরে এক কোটি টাকার বেশি পাওয়া যেতে পারে।
ব্যয় নিয়ন্ত্রণ - বাজেট পরিকল্পনা প্রয়োজন
৫০,০০০ টাকা বেতনের একজন ব্যক্তি এক কোটি টাকা জমানোর জন্য মাসিক কমপক্ষে ৪০ শতাংশ সঞ্চয় করতে হবে। অবশিষ্ট ৩০,০০০ টাকা ব্যয়ের জন্য রাখতে হবে। এর জন্য মাসিক বাজেট পরিকল্পনা করতে হবে। বাড়ি ভাড়া ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, মাসিক বাজার, ভ্রমণ ইত্যাদির জন্য ৮,০০০ টাকা এবং স্বাস্থ্য, স্কুলের ফি ইত্যাদির জন্য ১২,০০০ টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমালে এটি সম্ভব।
কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
কোথায় বিনিয়োগ করবেন সেটাও বিবেচনা করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক, অন্যান্য বাজার-সংযুক্ত বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য ৬০% মিউচুয়াল ফান্ড (SIP এর মাধ্যমে), ২০% স্টক (কোম্পানির অধ্যয়ন পরে), ১০% PPF/EPF/SSY এর মতো সরকারি প্রকল্প এবং ১০% জরুরি তহবিল (FD অথবা লিকুইড ফান্ড) বরাদ্দ রাখা যেতে পারে।
জরুরি তহবিল অবশ্যই রাখতে হবে
আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য, মাঝখানে আসা বাধা মোকাবেলার সামর্থ্য থাকতে হবে। তাই কমপক্ষে ৬ মাসের ব্যয়ের সমান টাকা FD অথবা লিকুইড ফান্ডে জরুরি তহবিল হিসেবে রাখতে হবে। কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা নিতে হবে। জীবন নিরাপত্তার জন্য টার্ম প্ল্যানও নিতে হবে।
বিঃদ্রঃ উপরের তথ্যগুলো কেবল প্রাথমিক তথ্য হিসেবে বিবেচনা করুন। SIP নির্বাচনের আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এর জন্য আর্থিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

