ঋণগ্রহীতা কোনভাবে মারা গেলে তাহলে ব্যাংক কিভাবে তার না পাওয়া ঋণের টাকা আদায় করবেন রইল তার কিছু পদ্ধতি।
পরিবারের খুশির জন্যে আমরা কিনা করে করে থাকে। গাড়ি কিনতে লোন কিংবা ছোট বড় সমস্ত ধরণের লোন নিয়ে পরিবারের খুশির ব্যবস্থা করে থাকে মধ্যবিত্ত। কিন্তু জীবনের কোনও ভরসা নেই। আগামী কয়েক ঘন্টায় জীবনে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। কখনো ভেবেছেন ঋণগ্রহীতা মারা গেলে সেই বিপুল ঋণ শোধ করার দায়িত্ব কার হবে? ছেলে কিংবা পরিবারকে কি মেটাতে হবে সেই লোন?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে সব ঋণ একই ধরনের নয়। ঋণ সুরক্ষিত এবং অসুরক্ষিত ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। সিকিয়র্ড লোন অর্থাৎ হোম লোন, অটো লোন এবং অসুরক্ষিত লোনের ক্যাটাগরিতে রাখা হয়ে থাকে ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির জন্য ইএমআই। ঋণগ্রহীতা মারা গেলে পরিবারের ওপর চাপ দিয়ে ব্যাংক কি ঋণ আদায় করতে পারে?
এসব ক্ষেত্রে ঋণের ধরণ ঋণের অর্থের উপর নির্ভর করেই, ব্যাংক "ঋণ আদায়ী ব্যবস্থা" গ্রহণ করেন। মোটামুটিভাবে, যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় টা হলো:
১। যদি ঋণটি "ইনস্যুর" করা থাকে, তবে, ইনস্যুরেন্স কোম্পানী থেকে, আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
২। যদি ঋণটিতে "গ্যারানটার" যুক্ত থাকেন, তবে, গ্যারান্টর থেকে, আদায় করার চেষ্টা করা হয়। প্রয়োজনে, অনাদায়ী ঋণের ক্ষেত্রে, গ্যারান্টর এর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
৩। যদি ঋণটিতে সিকিউরিটি দেয়া থাকে, সেই সিকিউরিটির মূল্য থেকে আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
৪। যদি ঋণগ্রহীতার ব্যাংকে কোনো "ডিপোজিট" (সঞ্চয়) থাকে, সেখান থেকে আদায় করার চেষ্টা করা হয়।
৫। যদি ঋণগ্রহীতার উত্তরাধিকারী থাকেন, ব্যাংক তাঁদের, ঋণ পরিশোধ করার জন্য আবেদন করতে পারেন, কিনতু, উত্তরাধিকারীর জন্য সেটা বাধ্যতামূলক না ও হতে পারে, যদি তিনি এই ঋণ সংক্রান্ত চুক্তিতে তিনি কোনোভাবেই আবদ্ধ না থাকেন।
এসব কোনো ব্যবস্থাই যদি কার্যকর না হয়, তবে ব্যাংক ঋণটিকে অনাদায়ী ঋণ বা "bad debts" হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং পরবর্তী সময়ে, ঋণটিকে ব্যাংকের নিয়মেই "মুকুব" করে দেয়া হয়।


