সংক্ষিপ্ত
আবার দৌড়চ্ছে শেয়ার বাজার (Share Market)। কার্যত, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনা এবং রুপোর দামও।
Market Investment: আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই লগ্নিকারীদের মনে চলছে জল্পনা। দীর্ঘমেয়াদী লগ্নির ক্ষেত্রে ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করলে সবথকে ভালো রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে (Market Investment Plan)?
ব্রোকারেজ সংস্থাগুলির তরফ থেকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুই দশকে ভারতের বাজারে প্রায় ৮-১০% চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে সোনার দাম। বলা যেতে পারে, অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়েও বেশ ভালো রিটার্ন দিয়েছে এই হলুদ ধাতু (Market Investment Calculator)।
কিন্তু তারপরও বিশ্লেষকদের একাংশ দাবি করছেন, দীর্ঘমেয়াদী এই ধরনের লগ্নিতে সোনা থেকে সবসময় দারুণ লাভ পাওয়া যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। এই দেশের দুটি শেয়ার বাজারের মধ্যে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) আকারে অনেকটাই বড়। আর তার একটি সূচক হল নিফটি-৫০। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির কথায়, ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘমেয়াদী চক্রবৃদ্ধি হারে সেখানে থেকে ১০-১২% রিটার্ন পেয়েছেন লগ্নিকারীরা (Market Investment News)।
আর সেইদিক দিয়ে দেখতে গেলে সোনার থেকে নিফটি-৫০ অনেক বেশি লাভজনক। তবে মুদ্রাস্ফীতির নিরীখে আবার হলুদ ধাতুর গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে টাকার দাম পড়তে শুরু করলে সাধারণত বাড়তে শুরু করে সোনার দর। আর শেয়ার সংস্থার মুনাফা এবং আয় বৃদ্ধি হলে তবেই একমাত্র মুদ্রাস্ফীতির নিরীখে দ্রুত বাড়তে থাকে ইক্যুইটির দাম। সবথেকে বড় বিষয়, আর্থিক সঙ্কটের সময় অনেক বেশি অস্থির থাকে স্টকের গ্রাফ (Share Market Graph)।
ফলে, নিফটি ৫০-তে লগ্নি তুলনামূলকভাবে অনেকটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। শেয়ার সূচকের হঠাৎ পতন হলে মোটা টাকা লোকসান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে বিনিয়োগকারীদের। তাই এখানে লগ্নি করতে হলে অনেকটা বেশি সময় ধরে করা উচিত। অর্থাৎ, ধৈর্য্যের প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, নিফটিতে লেনদেন করা অনেকটাই সহজ।
সেই একই কথা সোনার ইটিএফের ক্ষেত্রেও খানিকটা সত্যি। কিন্তু হলুদ ধাতু কেনা বেশ খরচ সাপেক্ষ। কারণ, সেখানে সোনার বিশুদ্ধতা এবং গয়না তৈরির খরচের উপরও দাম অনেকটা নির্ভর করে থাকে। আর তাই আর্থিক বিশ্লেষকরা সোনা এবং শেয়ার, এই দুটি দিক বজায় রেখেই লগ্নির পরামর্শ দিচ্ছেন। শুধুমাত্র একটি দিকে টাকা বিনিয়োগ না করাই ভালো।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।