যুদ্ধবিরতি এবং আইএমএফ ঋণের অনুমোদন পাকিস্তানের অর্থনীতিতে স্বস্তি এনেছে। করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাপক উত্থান দেখা গেছে। ভারতের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের শেয়ার বাজারে ট্রেডিং বন্ধ করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
পাকিস্তান শেয়ার বাজার: পাকিস্তানি অর্থনীতির জন্য রবিবার সকাল একটি বড় সন্ধিক্ষণ নিয়ে এসেছে। শনিবার ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হয় এবং এর প্রভাব সোমবার, ১২ মে সকালে দুই দেশের শেয়ার বাজারে দেখা যায়। ভারতের বিএসই সেনসেক্স ২,৩০০ পয়েন্ট লাফিয়ে ওঠে, অন্যদিকে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৯% এর ব্যাপক উত্থানের সাথে এতটাই উচ্চে উঠে যায় যে ট্রেডিং বন্ধ করতে হয়।
কেএসই-১০০ এর অবস্থা
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেএসই-১০০ সূচক প্রাথমিক লেনদেনে প্রায় ৯,৯২৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১৭,১০৪ পয়েন্টে পৌঁছে যায়, যখন আগের কার্যদিবসে এটি ১০৭,১৭৪ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছিল। পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হয়েছিল, যাতে বাজারে আকস্মিক এই উত্থান নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গত কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানি অর্থনীতির জন্য এটি একটি বড় সুসংবাদ।
পাকিস্তানি শেয়ার বাজারে এত বড় উত্থান কেন
পাকিস্তানের জন্য এই স্বস্তি ভারতের সাথে যুদ্ধবিরতি এবং আইএমএফ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণের কিস্তি অনুমোদনের ফলে এসেছে। এর সাথে সাথে রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) এর অধীনে তারা অতিরিক্ত ১.৪ বিলিয়ন ডলার পাবে। এই দুটি বড় অর্থনৈতিক সংবাদ পাকিস্তানি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বাজারে উত্থানের জোয়ার এনেছে। এর সুবিধা বড় পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন।
অপারেশন সিন্ধুরের পর ধস নেমেছিল করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে
এপ্রিল ২০২৫ এর শেষ সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনী 'অপারেশন সিন্ধুর' এর অধীনে পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছিল, যার পর কেএসই-১০০ সূচকে ১২.৬% পতন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এছাড়াও স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান সুদের হার ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে, যার ফলে সুদের হার এখন ১১% এ নেমে এসেছে। এর ফলে বাজারে লিক্যুইডিটি এবং বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হয়েছে।