সংক্ষিপ্ত

বেসরকারি কোম্পানিগুলির লাভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বেসরকারি কোম্পানিগুলির লাভ লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেলেও কর্মীদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে যথেষ্ট কার্পণ্য করা হয় বলেই জানা গেছে। গত ৪ বছরে বেসরকারি কোম্পানিগুলির লাভ গড়ে ৪ গুণ বৃদ্ধি পেলেও কর্মীদের বেতন সেই অনুপাতে বাড়েনি বলেই ফিকি এবং কুইস কর্পোরেশনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং, উৎপাদন, পরিকাঠামো সহ ছয়টি ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার মাত্র ০.৮ শতাংশ। 

আর এফএমসিজিতে সেটা ৫.৪ শতাংশ। মূল বেতন সামান্যই বৃদ্ধি হয়েছে অথবা মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় কর্মীদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে বলে সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই পাঁচ বছরে, অর্থাৎ ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে ৪.৮%, ৬.২%, ৫.৫%, ৬.৭%, ৫.৪%। কিন্তু কর্মীদের বেতন সেই অনুপাতে একেবারেই বাড়েনি।

উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা
সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি. অনন্ত নাগেশ্বরনও বেশ কয়েকবার এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কোম্পানিগুলির লাভ বহুগুণ বৃদ্ধি পেলেও কর্মীদের কম বেতন দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি সম্প্রতি একটি মন্তব্য করেছিলেন। আর এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে, অর্থনীতিতে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই মত অনেকের। কারণ, কোম্পানিগুলির আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ কর্মীদের বেতন হিসেবে দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। 

তবে এটি না হলে, সংস্থার পণ্য কেনার জন্য অর্থনীতিতে পর্যাপ্ত চাহিদা তৈরি হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন তখন। কারণ, আয় কম থাকায় শহরাঞ্চলে তার প্রভাব পড়েছে বলেও সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, বেতনের যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার (CAGR) ইএমপিআই (ইঞ্জিনিয়ারিং, উৎপাদন, প্রক্রিয়া এবং পরিকাঠামো) ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ০.৮% ছিল বলে সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃদ্ধি নামমাত্র?

এই সময়কালে, এফএমসিজি ক্ষেত্রে সর্বাধিক বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে, ৫.৪ শতাংশ। ওদিকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২.৮ শতাংশ। এদিকে খুচরা ক্ষেত্রে ৩.৭ শতাংশ, আইটিতে ৪ শতাংশ এবং লজিস্টিক্সে মাত্র ৪.২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০২৩ সালে, গড় বেতন এফএমসিজি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৯,০২৩ টাকা এবং আইটিতে সর্বাধিক ৪৯,০৭৬ টাকা।
 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।