সংক্ষিপ্ত

গৌতম সিংহানিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন বৈশ্বিক ফার্ম থেকে আমাদের ওপর চাপ আসছে। অনেকেই এই পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়ার জন্য তৎপর।

বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ভারতে আসছে এক বহুজাতিক বিপননী সংস্থা। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে বিপননী সংস্থা রেমন্ড-র চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সিংহানিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন বৈশ্বিক ফার্ম থেকে আমাদের ওপর চাপ আসছে। অনেকেই এই পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়ার জন্য তৎপর। এ কারণেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।… আপাতত আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।

তিনি আরও বলেন, ভারতের তুলনায় বংলাদেশের শ্রমের দাম অপেক্ষাকৃত সস্তা ও বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের একটি বিশাল বাজার আছে। ব্যবসার জন্য এটি ইতিবাচক তবে এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বস্ত্রের অভাব। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে শ্রম সস্তা। বাজারও মোটামুটি সন্তোষজনক। কিন্তু, এই দেশের কোনও টেক্সটাইল ভিত্তি নেই। নিজেদের তৈরি বস্ত্রের সরবরাহ নেই। এখানে যে অবকাঠামো গড়ে উঠেছে, তার প্রায় সবটাই গার্মেন্ট বা তৈরি পোশাক শিল্পকে কেন্দ্র করে। তাই বস্ত্রের জন্য আমাদেরকে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতে যদি আমরা স্থানান্তর করি, তাহলে বস্ত্রক্রয় সংক্রান্ত খরচ আমাদের সাশ্রয় হবে, উৎপাদন খরচও কমবে।

এরই সঙ্গে তিনি জানান, ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল, শিল্পোৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য রাজনৈতির স্থিতিশীলতা খুব জরুরি।

এদিকে আবার জানা গিয়েছে, পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে চীন, দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ এবং তৃতীয় স্থানে আছে ভারত। ফলে ভারতে বেমন্ড ব্যবসা শুরু করলে তার সুপ্রভাব যে ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়বে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।