সংক্ষিপ্ত

আচমকাই শেয়ার বাজারে ধস। নির্বাচনী ধাক্কা কাটিয়ে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতের শেয়ার মার্কেট। কার্যত, রেকর্ডও গড়েছিল। তবে অস্থির সূচকের জোরালো ধাক্কায় বুধবার সকালে ফের ধস নামল শেয়ার বাজারে।

আচমকাই শেয়ার বাজারে ধস। নির্বাচনী ধাক্কা কাটিয়ে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতের শেয়ার মার্কেট। কার্যত, রেকর্ডও গড়েছিল। তবে অস্থির সূচকের জোরালো ধাক্কায় বুধবার সকালে ফের ধস নামল শেয়ার বাজারে।

স্বভাবতই, মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। শেয়ারবাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই মধ্যেই সেনসেক্স সূচক নামল ৯০০ পয়েন্টে। সেইসঙ্গে, পাল্লা দিয়ে ২৫৯ পয়েন্ট নেমেছে নিফটিও। মাত্র ২ ঘণ্টায় সবমিলিয়ে, প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হল বিনিয়োগকারীদের।

মঙ্গলবারই, সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ৮০,৩১৫-তে থেমেছিল সেনসেক্স। পরদিন বুধবার, বাজার খোলার পর তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ পয়েন্ট। ফের একবার নয়া রেকর্ড। কিন্তু তারপরই হটাৎ পতন। সকাল ১১টা নাগাদ ৯০০ পয়েন্ট নেমে যায় সেনসেক্স। পাল্লা দিয়ে নামে নিফটিও।

সকালে বাজার খোলার পর মাত্র ২৬ পয়েন্ট বেড়েই হটাৎ করে হুড়মুড়িয়ে নিচের দিকে নামতে শুরু করে বাজার। শেষে ২৪,১৭৩ পয়েন্টে এসে কিছুটা সামাল দেয় নিফটি। আর বুধবার, বাজারে এই বিপুল ধাক্কার জেরে মাত্র ২ ঘণ্টায় ৭.৩৮ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

তবে বাজারের এমন বেহাল অবস্থাতেও মুনাফার মুখ দেখেছে বেশকিছু শেয়ার। এদিন সবচেয়ে বেশি শেয়ার বেড়েছে রাজেশ এক্সপোর্টস, রেল বিকাশ নিগম, কম্পিউটার এজ ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস, হোম ফার্স্ট ফিনান্স কোম্পানি ইন্ডিয়া, রেমন্ড, ফাইভ স্টার বিজনেস ফিনান্স, মেট্রো ব্র্যান্ডস, ব্রিগেড এন্টারপ্রাইজেস, হোনাসা কনজিউমার, কোলামন্ডলম ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংস, ম্যানকাইন্ড ফার্মা, মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া এবং ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের।

অন্যদিকে বড় পতনের মুখে পড়েছে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার, দ্য ফার্টিলাইজারস অ্যান্ড কেমিক্যালস ত্রাবাঙ্কোর, ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ, দীপক ফার্টিলাইজারস অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান কপার, ভারত ডায়নামিক্স, বম্বে বার্মা ট্রেডিং কর্পোরেশন, স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, কেইসি ইন্টারন্যাশনাল, এবং ব্লু স্টার।

এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত কয়েকদিনে যেভাবে বাজার উঠেছিল তাতে এই পতন অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। ফলে, এই মুহূর্তে বাজারের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেইরকম বড় কোনও খবর নেই। বরং পতনের আশঙ্কাই বেশি। চলতি মাসেই রয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। তারপর ফের বাজারে জোয়ার আসতে পারে বলে আশা করছেন অনেকেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।