সংক্ষিপ্ত
প্রতিদিন আপনার আয় এবং খরচের তালিকা তৈরি করা। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন আমাদের আয় নির্দিষ্ট কিন্তু আমাদের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
মুদ্রাস্ফীতি দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আয় নির্বিশেষে সঞ্চয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। আয় অনুযায়ী ব্যয়ও বাড়ছে। আজকাল দেখা যাচ্ছে মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি ভাবে। তারা মনে করেন, আজকে যদি আমরা শপিং মল বা শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে বেশি বেশি কেনাকাটা করি তাহলে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে পারব না। কারণ ধরুন আপনি একটি মলে গেলেন। সেখানে আপনি কিনুন একটা-পেয়ে যান একটা ফ্রি উপায়ে পণ্য পান। আপনি যদি এটি কিনে ফেলেন, তাহলে অতিরিক্ত ব্যয় করা হবে। তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কিনুন।
ঋণের জন্য ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ থেকে দূরে থাকুন
অর্থের অভাব হলে সব সময় আপনার আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের কাছ থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা নিন। ব্যক্তিগত ঋণ বা তাত্ক্ষণিক ঋণ অ্যাপের ফাঁদে কখনই আটকাবেন না। যদি আপনি এটি করেন, তাহলে আপনি সবসময় চাপের মধ্যে থাকবেন যতক্ষণ না আপনি ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হচ্ছেন। আর মোটা টাকা সুদের জ্বালায় জীবন জেরবার হবে।
একাধিক ঋণের ক্ষেত্রে, প্রথমে উচ্চ সুদের হারটি লক্ষ্য করুম। আপনি যদি একাধিক ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে একটু হিসাব-নিকাশ করতে হবে। হিসেব হল যে যার উপর সুদের হার সবচেয়ে বেশি, আপনাকে প্রথমে তা পরিশোধ করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ ওভারডিউ হয়ে গেলে সর্বোচ্চ জরিমানা ধার্য করা হবে।
প্রতিদিনের আয় এবং ব্যয়ের তালিকা তৈরি করুন
তৃতীয় উপায় হল প্রতিদিন আপনার আয় এবং খরচের তালিকা তৈরি করা। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন আমাদের আয় নির্দিষ্ট কিন্তু আমাদের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেটা বুঝতে পারলে আপনি খরচ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন। এরপরেই সঞ্চয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ব্যাংকে রাখা টাকা দিন দিন কমছে
আপনার যদি ব্যাংকে টাকা অবশিষ্ট থাকে, তাহলে আপনার খরচ বের করে বাকি অতিরিক্ত টাকা কোথাও বিনিয়োগ করতে পারেন। এর জন্য আপনি হয় SIP অর্থাৎ মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবহার করতে পারেন, অথবা একটি স্থায়ী আমানত নিতে পারেন, অথবা শেয়ার বাজারে সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনার ব্যাঙ্কে রাখা টাকা দিন দিন কমতে থাকে। কারণ মূল্যস্ফীতি প্রতি বছরই বাড়ছে। এটি দিয়ে, আপনি ব্যাংকে তেমন সুদ পাবেন না। তাই এতে কোন লাভ নেই।