সংক্ষিপ্ত

২০২১ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে রান্নার তেলের দামের গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করে। ১৬৭ টি প্রাইস কালেকশন সেন্টারের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের খুচরো বাজারে প্রতি কেজি তেলের দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা

সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোটা দেশ জুড়ে খুচরো পাইকারি বাজারে (Retail Market) উর্ধ্বমুখী ছিল রান্নার তেলের (Edible Oil) দাম। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে রান্নার তেলের দামের গ্রাফ নিম্নমুখী (Edible Oil Price Decrease) হতে শুরু করে। সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৬৭ টি প্রাইস কালেকশন সেন্টারের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের খুচরো বাজারে প্রতি কেজি তেলের দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। সম্প্রতি উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের (Ministre Of Consumer Affair) তরফে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী, গোটা ভারতের খুচরো বাজারে বাদাম তেলের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। এক কেজি সরষের তেলের দাম ছিল ১৮৪.৫৯ টাকা। কেজি প্রতি সোয়া তেলের দাম ১৪৮.৮৫ টাকা ছিল। সানফ্লাওয়ারের দাম কেজি প্রতি ছিল ১৬২.৪ টাকা। অন্যদিকে পাম তেলের দাম ছিল ১২৮. ৫ টাকা। 

এবার দেখা যাক ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে রান্নার তেলের দামের গ্রাফটা কতটা কমেছে। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের যে পরিসংখ্যান দেখানো হয়এছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বাদাম তেল ও সরষের তেলের দাম কেজি প্রতি ১.৫০ টাকা থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অন্যদিকে সোয়া আর সূর্যমুখী তেলের দামও কেজি প্রতি ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, আদানি উইলমার ও রুচি ইন্ডাস্ট্রির মত নামজাদা রান্নার তেলের কোম্পানি গুলোও রান্নার তেলের দামে কাঁচি চালিয়েছিল। প্রায় ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি রান্নার তেলের দাম কমিয়েছিল এই সংস্থাগুলো। এছাড়াও যে নামী সংস্থা গুলো রান্নার তেলের দাম কমিয়েছিল সেই তালিকায় রয়েছে জেমিনি এডিবলস অ্যান্ড ফ্যাটস ইন্ডিয়া হায়দরাবাদ, মোদি ন্যাচারালস দিল্লি, গোকুল রি-ফয়েল অ্যান্ড সালভেট, বিজয় সলভেক্স, গোকুল অ্যাগ্রো রিসোর্সেজ আর এনকে প্রোটিন্স। 

আরও পড়ুন-Adani Wilmar-ভোজ্য তেলের অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড ফরচুন,স্টক এক্সচেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত হবে আদানি উইলমার লিমিটেড

আরও পড়ুন-মাত্র ৫ মাসে ৮৮০০ শতাংশ, শেয়ার দরে অবিশ্বাস্য উত্থান রুচি সোয়া ইন্ডাস্ট্রিজ-এর

আরও পড়ুন-Mustard oil-ফের দাম বাড়ল সরষের তেলের,প্রতি লিটারে ৬৭ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি

উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল কমোডিটির দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা রাজ্য সরকারগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং হস্তক্ষেপের ফলে খাবার তেলের দাম কমেছে। উল্লেখ্য, রান্নার তেলের দামের পারদ অক্টোবর মাস থেকে এই নাম নীচের দিকে নামছে। উপভোক্তা মন্ত্রকের বক্তব্যে বলা হয়েছে, আমদানি শুল্ক কম হওয়া আর মজুত রোধ করা আইনের ফলে স্টকের সীমা বেঁধে দেওয়ার মতো অন্যান্য পদক্ষেপ সমস্ত খাদ্য তেলের ঘরোয়া দাম কম করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। সরকার দ্বারা নেওয়া পদক্ষেপের পর অপরিশোধিত তেলের উপর ৭.৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত সোয়াবিন তেল আর সূর্যমুখী তেলের উপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়েছে। আরবিডি পামোলিন অয়েলের উপর বেসিক ডিউটি সম্প্রতিই ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছিল। রিফাইন্ড সোয়াবিন আর রিফাইন্ড সূর্যমুখী তেলের উপর বেসিক ডিউটি ৩২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৭.৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রিটেইল প্রাইজের সর্বোচ্চ ট্যাগ খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে।