সংক্ষিপ্ত

অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতে সরকার এমন প্রস্তাব আনছে যেখানে বলা হবে যে কোম্পানি যত চিপ বানাবে, সে তত ট্যাক্স ছাড়ের আওতায় আসবে। এতে কোম্পানিগুলি চিপ তৈরির উৎসাহ বাড়বে। 

চিপ উৎপাদনে ভারতকে আত্মনির্ভর হতে হবে, নয়তো বড়সড় বিপদ অপেক্ষা করছে দেশের জন্য। এমনই মত ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। তিনি বলেন ভারত আগামী বছরের মধ্যে কমপক্ষে দশটি সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন আইটেম চাইবে। মন্ত্রীর দাবি এই চিপ বর্তমানে তেলের মতো এবং প্রতিটি কৌশলগত এবং শিল্পের কারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রী বলেন প্রাক্তন আইবিআই গভর্ণর রঘুরাম রাজন বলেছিলেন ভারতে চিপ উৎপাদন করা প্রয়োজন নেই। এই মন্তব্য হতাশাজনক। কারণ দেশকে সবসময় আত্মনির্ভর থাকতে হবে। 

তিনি বলেন চিপ ছাড়া দেশের কোনও শিল্পই বিকাশ লাভ করতে পারবে না। মোবাইল থেকে কম্পিউটার, মিসাইল থেকে যুদ্ধ বিমান, সবই চিপের ওপর নির্ভরশীল। তাই যদি চিপ উৎপাদনে ভারত সক্ষমতা না দেখাতে পারে, তা ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে এই রোডম্যাপ সেট করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। বৈষ্ণব আরও বলেন বর্তমানে দেশ চিপের আমদানির ওপরে নির্ভর করে রয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই নির্ভরতা ঝুঁকির হতে পারে। 

অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতে সরকার এমন প্রস্তাব আনছে যেখানে বলা হবে যে কোম্পানি যত চিপ বানাবে, সে তত ট্যাক্স ছাড়ের আওতায় আসবে। এতে কোম্পানিগুলি চিপ তৈরির উৎসাহ বাড়বে। সরকার ইতিমধ্যেই পাঁচটি বৃহৎ চিপ তৈরির কোম্পানির কাছ থেকে কারখানা তৈরির প্রস্তাব পেয়েছে। ইন্টেল, টি এস এম সি, স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানিও উৎসাহ দেখাচ্ছে। মন্ত্রী জানাচ্ছেন ১০টি সেমিকনডাক্টর ফ্যাব তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সেই পরিস্থিতিতে আরও চাহিদা তৈরি করছে। নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই মেক ইন ইন্ডিয়াকে মেক ফর ওয়ার্ল্ড বানাতে হবে। তবেই প্রকৃত আত্মনির্ভর ভারত তৈরি সম্ভব। 

'কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেল করতেই তৃণমূলকে ব্যবহার', দল ছেড়ে PK-কে কাঠগড়ায় তুললেন গোয়ার নেতা

রাহুল গান্ধীর জন্যই কি পিছিয়ে গেলেন প্রশান্ত কিশোর? কংগ্রেসে যোগদানে বাধা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

মাঝে মাঝেই কান চুলকায়, তাহলে এখন থেকে সাবধান হয়ে যান- নাহলে বড় বিপদ হতে পারে

মন্ত্রী এদিন বলেন ইতিবাচকভাবে প্রভিশন চেইন আরও গভীর করতে হবে, যা আমরা এখন সঠিকভাবে করছি। সুতরাং, উদাহরণস্বরূপ, সেলুলার উত্পাদন বাড়াতে হবে। আমাদের ফোকাস গভীরতর করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমরা পাঁচ-ছয়টি সেক্টরে ভালো সাফল্য পেয়েছি। এখন আমাদের কমপক্ষে সাত বা আটটি অতিরিক্ত সেক্টরে স্থানান্তর করতে হবে, এর ফলে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইন কার্যকর করার আমাদের সম্ভাবনার উপর আস্থা অর্জন করেছে। তৃতীয়ত, একযোগে আমাদের দক্ষতার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। 

আইটি মন্ত্রী আরও বলেন সেমিকনডাকটর না থাকলে এগোনো সম্ভব নয়। এটি ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থার মৌলিক উপাদান। তাই এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।