সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাস মহামারীর আঁতুর ঘর চিনের উহান
- বেশ কয়েকটি সংস্থা চিন থেকে সরে যেতে চাইছে এই কারণে
- চিনের বদলে তাদের প্রোডাকসনের স্থান বদলানোর বিকল্প খুঁজছে অ্যাপেল
- এরপর লাভা চিন ব্যবস্যা গুটিয়ে ভারতে আনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে
করোনাভাইরাস মহামারীর আঁতুর ঘর চিনের উহান। বর্তমানে বেশ কয়েকটি সংস্থা চিন থেকে সরে যেতে চাইছে এই কারণে। অ্যাপল তার উত্পাদন ক্ষমতার কিছু অংশ চিন থেকে ভারতে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই আইফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাপেল চিন থেকে তার কিছু সংখ্যক ব্যবসা ভারতে নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এবার অ্যাপেল-এর পর আরও এক মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা চিন থেকে তার পুরো ব্যবস্যা গুটিয়ে ভারতে নিয়ে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর তা হল লাভা।
আরও পড়ুন- করোনার জের, চিন থেকে ইউনিট সরিয়ে ভারতে আনতে আগ্রহী অ্যাপেল
লাভা সংস্থাটি জানিয়েছে যে, ভারতে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। লাভা তার ফোনগুলির ৩৩ শতাংশেরও বেশি রফতানি করে মেক্সিকো, আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম এশিয়ার মতো বাজারগুলিতে। লাভা সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিন থেকে এতদিন সুবিধা পেয়েছে এই সংস্থা। তবে গত মাসে সরকার ঘোষিত প্রোডাকশন লিংকড ইনসেন্টিভ স্কিম অর্থাৎ পিএলআই প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় মোবাইল ফোন নির্মাতারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন- স্যামসাং গ্যালাক্সির নতুন চমক, নয়া ফিচার-সহ প্রকাশ্যে এল গ্যালাক্সি এটুয়েনটিওয়ানএস
এই বিষয়ে শুক্রবার সংস্থার কর্ণধার হরি ওম রাই বলেছেন, "চিনে লাভার উৎপাদন ইউনিটে প্রোডাক্ট ডিজাইনের জন্য প্রায় ৬৫০ কর্মী কাজ করেন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের জন্য আর কিছু পদ নির্ধারিত রয়েছে। তাই ভারত যদি এই বাণিজ্যের জন্য রাজি থাকে, তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েক হাজার ইউনিট মোবাইল রপ্তানি আগামী দিনে পুরোটাই হবে ভারত থেকে। ভারতে যে লাভার ইউনিট রয়েছে, সেটি বর্তমানে শুধু মোবাইল চার্জার উৎপন্ন করে, এবং বিদেশে রপ্তানিও করে। তাই সংস্থার গোটা ইউনিট যদি ভারতেই থাকে তবে সমস্ত কাজ করা আরও সহজ হবে। পাশাপাশি প্রচুর ভারতীয় নাগরিকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে।"