সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সোমাসুন্দরাম পিআর বলেন, বিগত ৬ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে ৮০০ থেকে ৮৫০ টন সোনার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে, যেখানে ২০২১ সালে চাহিদার পরিমান ছিল  ৭৯৭.৩ টন। ২০২১ সালের ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে সোনার চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই সময় সোনালি ধাতুর চাহিদা ৩৪৩.৯ টনে পৌঁছে রেকর্ড গড়েছিল।
 

সোনার দাম (Gold Price) কিন্তু সাধারণের নাগালের বাইরে। তার মাঝেই শুক্রবার বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের তরফে দাবি করা হল চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে ফের বাড়তে পারে সোনার চাহিদা। বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের (World Gold Council) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সোমাসুন্দরাম পিআর বলেন, বিগত ৬ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে ৮০০ থেকে ৮৫০ টন সোনার চাহিদা (Gold Demand) বেড়ে গিয়েছে, যেখানে ২০২১ সালে চাহিদার পরিমান ছিল  ৭৯৭.৩ টন। সেই সঙ্গে আরও বলেন, ইতিমধ্যেই ২০২১ সালে অতিমারি করোনা আবহেও সোনার চাহিদা একলাফে প্রায় ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। সেই রকম মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের সোনার কেনার প্রতি আরও উৎসাহিত করতে খুচরো সোনার বিক্রির প্রতি জোড় দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছিল সেই সময় বহু বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করে ২০২১-২২ সালে বহু বিয়ের তারিখ পিছিয়ে আনা হয়েছিল। সেই জন্যই এই সময় সোনার চাহিদা উত্তরোত্তর হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (Gold Demand Keep Rising In 2022) । বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের (World Gold Council) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সোমাসুন্দরাম পিআর -এর মতে, করোনাকালে বহু বিবাহ অনুষ্ঠান (Wedding Ceremony) অনেক ছোট করে পালিত হয়েছে। তার ফলে খরচের পরিমানটাও সেখানে কমেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সোনায় বিনিয়োগ করেছেন বলে মনে করছেন তিনি। 

শুক্রবার বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের (World Gold Council) তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালে বিয়ের পরিমান (Wedding Ceremony) বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ পরিবারের কাছের মানুষদের বিয়েতে উপহার দেওয়ার জন্য সোনার জিনিস কেনার একটা চাহিদা ছিল। সেই জন্যই ২০২১ সালের ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে সোনার চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই সময় সোনালি ধাতুর চাহিদা ৩৪৩.৯ টনে পৌঁছে রেকর্ড গড়েছিল। চলতি সপ্তাহে আঞ্চলিক স্তরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দামের স্তর রয়েছে  ৪৮ হাজার টাকা। বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সোমাসুন্দরাম পিআর-এর মতে, ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে সোনার দাম পৌঁছে গিয়েছিল সর্বোচ্চ সীমায়। সেই সময় সোনার দামের পারদ পৌঁছেছিল প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬ হাজার ১৯১ টাকায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বর্তমান সোনার দাম ভারতীয় গ্রাহকের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। 

আরও পড়ুন-Gold Price Today-লক্ষ্মীবারে সামান্য পতন সোনার দামে, পকেটে চাপ অব্যাহত মধ্যবিত্তের

আরও পড়ুন-Gold Price Today-প্রজাতন্ত্র দিবসে সোনার দামে বিপুল পতন, তবুও মধ্যবিত্তের নাগালে এল না সোনালি ধাতু

আডরও পড়ুন-Gold And Silver Price-মঙ্গলেও সোনা-রুপোর দর মধ্যবিত্তের জন্য মোটেই মঙ্গলময় নয়

বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সোমাসুন্দরাম পিআর বলেন, ২০২২ সালে সোনার চাহিদা অব্যাহতই রাখার লক্ষ্যে এগোবেন। সেই সঙ্গে ভারতের তরফে স্বর্ণখাতে একটা মোটা বিনিয়োগেরও আসা রাখছেন তিনি। শুক্রবার বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের তরফে প্রকাশ হওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২দ সাল পর্যন্ত ভারতে সোনা আমদানিরর পরিমান ৮৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। গোল্ড আউটলুকের আরেকটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালে ভারতে সোনার বাজারের চাহিদার ইতিবাচক দিকের ওপর ভিত্তি করেই সোনা শিল্প আরও উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।