সংক্ষিপ্ত
বিদেশী বিনিময় ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন করেছে আমাজন ইন্ডিয়া ও ফিউচার গ্রুপ। সেই জন্য ইডির তরফে সমন পাঠান হল দুই সংস্থার আধিকারীকদের।
সম্প্রতি ই-কমার্স সাইট আমাজন (Amazon)মারফত গাঁজা পাচারের জন্য মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বিপদের মেঘ ঘনিয়ে এল আমাজন শিবিরে। এবার আমাজন ইন্ডিয়া(Amazon India) আর ফিউচার গ্রুপের(Future Group) সিনিয়ার আধিকারীকদের সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর(ED) বা ইডি। আগামী সপ্তাহে দিল্লির হেড কোয়াটারে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। বিদেশী বিনিময় ব্যবস্থাপনা আইন (Foreign Exchange Management Act) অমান্য করার তদন্তের ব্যাপারেই তাঁদের বিরুদ্ধে সমন জারি(ED Issued Summon) করা হয়েছে। ২০১৯ সালে আমাজন যখন ফিউচার গ্রুপের থেকে ৪৯ শতাংশ স্টেক(49% Stake) কিনেছিল তখনই বিদেশী বিনিময় ব্যবস্থাপনা আইন(FEMA) লঙ্ঘন করেছিল বলে অভিযোগ। আমাজন ইন্ডিয়ার প্রধান অমিত আগরওয়ালকেও(Amit Agarwal) সমন পাঠিয়েছে ইডি(ED)। রবিবার আধিকারীক সূত্র মারফত জানা গেছে আমাজন ইন্ডিয়ার(amazon India) প্রধান অমিত আগরওয়াল আর অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকদের পাশাপাশি ফিউচার গ্রুপের(Future Group) আধিকারীদেরও সমন পাঠিয়েছে ইডি(ED)। আমাজন আর ফ্লিপকার্টের মতো দেশের প্রধান ই-কমার্স কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে বানিজ্যিক মন্ত্রালয় জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিল। এছাড়াও দিল্লির উচ্চ আদালতও আমাজনের ব্যাপারে কড়া মন্তব্য করেছিল। তারপরই ইডি বিভিন্ন ধারার অধীনে তদন্ত শুরু করে। উচ্চ আদালত অভিযোগ জানিয়েছিল, মার্কিন কোম্পানি আমাজন(Amazon) ফিউচার গ্রুপের(Future Group) তালিকা বিহীন গোষ্ঠীর সঙ্গে কিছু সমঝোতার মাধ্যমে ফিউচার রিটেলর নিয়ন্ত্রণ হাসিল করার চেষ্টা করেছিল, যা বিদেশী বিনিময় ব্যবস্থাপনা আইন আর এফডিআই-র নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলে মনে করা হয়। এই ব্যাপারে তদন্তকারী এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডির সূত্র থেকে জানা গেছে এই দুই কোম্পানির আধিকারীকদের সেই একই কারণে ডাকা হয়েছে যাতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনও রকম বেগ পেতে না হয়।
আমাজন ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র ইডির সমন পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, কোম্পানী এটার সমীক্ষা করছে আর নির্ধারিত সময়ের ভেতর অবশ্যই জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে ফিউচার গ্রুপ এই ব্যাপারে আপাতত মুখে কুলুপ এটে রয়েছে। কোনও রকম প্রতিক্রিয়াই দেয় নি ফিউচার গ্রুপ। দুই কোম্পানিই ফিউচার রিটেলের সম্ভাব্য বিক্রি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাজন আর ফ্লিপকার্টের মতো দেশের প্রধান ই-কমার্স কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে বানিজ্যিক মন্ত্রালয় জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিল। এছাড়াও দিল্লির উচ্চ আদালতও আমাজনের ব্যাপারে কড়া মন্তব্য করেছিল। তারপরই ইডি ফেমার বিভিন্ন ধারার অধীনে তদন্ত শুরু করেছিল।