সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্র যদি ইলেকট্রনিক্স জিনিসের ওপর বিশেষভাবে নজর দেয় তাহলে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে  ভারতের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি। ভারতের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এবং উপকরণ নির্মাতা গোষ্ঠী কেন্দ্রের ইউনিয়ন বাজেট থেকে আশা রাখছে যে, ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রির  বিভিন্ন নীতি পর্যালোচনা করে এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রাণ সঞ্চারের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। 
 

নতুন বছর। নতুন অর্থবর্ষের বাজেট (Union Budget)। আর সেই বাজেটকে ঘিরে বিভিন্ন মহলের নানাবিধ প্রত্যাশা। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যেহেতু ইউনিয়ন বাজেট পেশ হচ্ছে সেই জন্য এই বাজেট থেকে আশা-আকাঙ্খার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স গুডস (Electronic Goods)। করোনার ঢেউয়ে অন্যান্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির মত অনেকখানি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইলেকট্রনিক্স গুডসও (Electronic Goods)। একদিকে যখন রীতিমত ধুঁকছে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি (Electronic Industry) তখন অন্যদিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণও বেশ বাড়ছে। এই রকম পরিস্থিতিতে ভারতের বিভিন্ন সেক্টরের মতো ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিও তাকিয়ে রয়েছে আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটের দিকে। কেন্দ্র যদি ইলেকট্রনিক্স জিনিসের ওপর বিশেষভাবে নজর দেয় তাহলে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে  ভারতের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি (Indian Electronic Industry)। ভারতের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এবং উপকরণ নির্মাতা গোষ্ঠী কেন্দ্রের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget) থেকে আশা রাখছে যে, ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রির (Electronic Goods) বিভিন্ন নীতি পর্যালোচনা করে এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রাণ সঞ্চারের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। 

বলা বাহুল্য, ২০২২-২৩-অর্থবর্ষের উপরে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রির অনেক আশা রয়েছে। ভারতের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এবং উপকরণ নির্মাতা গোষ্ঠী জানিয়েছে যে তারা আসন্ন বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে অনেক আশা রাখছে। ভারতের  ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের ম্যানুফ্যাকচারিং পদ্ধতি বাড়ানোর আশাই রাখছে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডস্ট্রি। ভারতের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এবং উপকরণ নির্মাতা গোষ্ঠীর অধ্যক্ষ এরিক ব্রঙ্গেজা জানিয়েছেন যে, ভারতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক সরঞ্জাম রফতানি করার জন্য এক্সাইজ ডিউটি (Excise Duty) বাড়ানো দরকার। এর ফলে ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর কাজে আরও উৎসাহ পাবে এবং ভারতেই বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের তৈরির পথ প্রসস্থ হবে। 

আরও পড়ুন-বাজেটের আগে প্রয়োজন ইকোনমিক সার্ভে, আসন্ন বাজেটে কোন ৫ টি বিষয় সার্ভে করা হচ্ছে, দেখে নিন

আরও পড়ুন-ইউনিয়ন বাজেটে ফের চাঙ্গা হতে পারে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি, অর্থমন্ত্রকের কাছে প্রস্তাবনা জমা FDA-এর

আরও পড়ুন-ইউনিয়ন বাজেটে খুচরো ব্যাবসার গতি ফেরাতে এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের দাবি RAI-র

২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ইউনিয়ন বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এয়ার কন্ডিশনারের জিএসটি-র পরিমাণ কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা। এমনটাই মত প্রকাশ করেছেন ভারতের কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স এবং উপকরণ নির্মাতা গোষ্ঠীর অধ্যক্ষ এরিক ব্রঙ্গেজা। সেই সঙ্গে আসন্ন বাজেটে বিভিন্ন ধরনের টিভির উপরে ট্যাক্সের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এই সকল জিনিসের ওপর জিএসটি কম হলে ভারতের ইলেকট্রনিক্স বাজার ফের চাঙ্গা হবে।  এয়ার কন্ডিশনারের ওপর জিএসটি কমানো উচিত বলে মত প্রকাশ করেছেন গোদরেজ অ্যাপ্লায়েন্সের এক উচ্চপদস্থ অফিসার। তিনি বলেন, ভারতে এখনও এয়ার কন্ডিশনারের জিএসটি-র পরিমাণ ২৮ শতাংশ, যা ভারতের জিএসটি স্ল্যাবের সবথেকে বেশি। জিএসটি-র পরিমান কমিয়ে ১৮ শতাংশে নিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছেন তিনি।