সংক্ষিপ্ত
এভারগ্রান্ড, চিনের একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থা। যা দেউলিয়া হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। এই কোম্পানি যদি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে তাহলে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের কোটি কোটি ডলার লোকসান হবে।
আজ থেকে ঠিক ১৩ বছর আগে ধস নেমেছিল আমেরিকার শেয়ার বাজারে। নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করার পথে দাঁড়িয়েছিল দেশের চতুর্থ বৃত্তম ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক লেম্যান ব্রাদার্স (Leman Brothers)। মার্কিন শেয়ার বাজারের (US Share Mrket) সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি বিশ্ব অর্থনীতি। তলিয়ে গিয়েছিল মন্দায় (Recession)। একের পর এক দেশে ক্রমই প্রকট হয়েছিল আর্থিক মন্দা। সেই ভয়বহ স্মৃতি আবারও ফিরে আসতে চলছে চিনের বৃহত্তম আবাসন সংস্থা এভারগ্রান্ডের (Evergrand) সৌজন্যে। করোনা (Coronavirus) আবহে রীতিমত বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। চিনা সংস্থা এভার গ্রান্ডের সৌজন্যে সেই অর্থিক অবস্থা আরও শোচনীয় হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এভারগ্রান্ড, চিনের একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থা। যা দেউলিয়া হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। এই কোম্পানি যদি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে তাহলে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের কোটি কোটি ডলার লোকসান হবে। সেই তালিকায় রয়েছে এলন মাস্ক, জেফ বেজোস, বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, ওয়ারেন বাফেটের মত বিলিয়নারদের নাম। ব্লুমবার্গ বিলিয়নার ইনডেক্স অনুসারে টেসলা ইনকর্পোরেশনের এলন মাস্ক এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি। তাঁর সম্পদের মূল্য ৭.২ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৯৮ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। জেফ বেজোসের ক্ষতি হয়েছে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার।
NDA: মহিলাদের আশা অস্বীকার করতে পারব না, কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে বলল সুপ্রিম কোর্ট
Viral Video: হলুদ নাইটি পরে মা উড়ালপুলে উদ্দাম নাচ , নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ
ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণকে জোর করে প্রস্রাব পান করাল কাকু-কাকিমা, আক্রান্তের দাদা বলছে অন্য কথা
এভারগ্রান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হু জিয়াইন ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্সের তালিকায় ৩৫৯তম স্থানে ছিলেন। তাঁর সংস্থার শেয়ারের পরিমাণ গত ১১ বছরসব থেকে নিচে নেমে গেছে। ২০১০ সালে সংস্থার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭.৩ বিলিয়ন।গত এক বছরে তা কমে দাঁডিয়েছে ১৬ বিলিয়নে। ১৯৯৬ সালে সু এভারগ্রান্ড সংস্থাটি তৈরি করেছিল। নির্মাণ, বৈদ্যুতিক গাড়ি, মিনারেল ওয়াটার, থিম পার্ক, স্বাস্থ্য পরিষেবা- সবদিকেই নদর দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার কর্মী সংস্থার ২ লক্ষেরও বেশি। পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল আরও ৩৮ লক্ষ মানুষ ২৮০টি শহরে ১৩ হাজারেও বেশি প্রকল্প ছিল। মোট সম্পত্তির পিরমাণ ছিল ৩৫ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু সেই সমস্থা এখন এতটাই দৈন্য যে বকেয়ার পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি ডলার। আগামী এক বছরের মধ্যে মেটাতে হবে ৩৭৩০ কোটি টাকা। গত মাস থেকেই কমেছে শেয়ার বিক্রি। বর্তমানে শেয়ারের দাম পড়েছে ৮৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে বকেয়ার একটি অংশ মেটানো কথা ছিল। কিন্তু সেটিও সংস্থাটি মেটাতে পারবে না। ফলে দ্রুত নেমে আসবে বিপর্যয়।
আর সেই কারণে চিন্তা আরও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সম্প্রতী ঋণে রাশ টানতে উদ্যোগ নিয়েছে চিনা সরকার। নতুন ঋণের ওপরেও চাপছে শর্ত। বেশ কিছু সংস্থাকে জব্দ করতে সাহায্য না করে দেউলিয়া হওয়ার জন্য হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে চিন সরকার। এই অবস্থায় এভারগ্রান্ড নিয়ে চিন সরকার কী পদক্ষেপ করে তাই এখন দেখার।