সংক্ষিপ্ত
সস্তাসুন্দরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে অনলাইন শপিং সাইট ফ্লিপকার্ট,এবার থেকে ফ্লিপকার্টে অর্ডার দেওয়া যাবে ওষুধ।
দৈনন্দিন জিনিস থেকে গ্রসারি, সাজসজ্জার জিনিস কি না পাওয়া যায় পপুলার ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টে(Flipkart)। এবার সেই তালিকার নয়া সংযোজন ওষুধ(Medecine Fecility)। অর্থাৎ এবার থেকে ফ্লিপকার্টে(Flipkart) অর্ডার করে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার দরকারী ওষুধটিও। কলকাতার নামী সংস্থা সস্তাসুন্দর মার্কেটপ্লেসের(SastaSundar)এর সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়ালমার্টের সংস্থা ফ্লিপকার্ট(Flipkart)। অর্থাৎ এবার অনলাইন ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টের( Flipkart)সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে ওষুধ বিপনন সংস্থা সস্তাসুন্দর(SastaSundar)।
এই সস্তাসুন্দর সংস্থাটি অনলাইন ফার্মেসি এবং ডিজিটাল হেলথ কেয়ার ফার্মেসি চালানোর জন্য বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত। এই অধিগ্রহণের ব্যাপারে চুক্তির কোনও পরিমাণ অবশ্য সামনে আনেনি ফ্লিপকার্ট। তবে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে ফ্লিপকার্ট হেলথপ্লাস (Flipkart Health+) সার্ভিস চালু করছে। তবে এই অধিগ্রহণের চুক্তির ব্যাপারটি স্বীকার করে নিয়েছে এই অনলাইন শপিং সাইট ফ্লিপকার্ট(Flipkart)। ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাসের দ্বারা লাখ লাখ ভারতীয় গ্রাহকরা কম টাকায় ওষুধের পরিষেবা পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সংস্থা।
অন্যদিকে পাওয়া যাবে সস্তাসুন্দর ডট কম(SastaSundar.com) ডিজিটাল হেলথ কেয়ার ও ফার্মেসির পরিষেবা। প্ল্যাটফর্মটিতে বর্তমানে ৪৯০টি ফার্মেসি রয়েছে। গ্রাহকদের কাছে যথেষ্ট সস্তায় ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সুনাম রয়েছে সস্তাসুন্দর ডট কমের (SastaSundar.com)। এই অধিগ্রহণের পরে সস্তাসুন্দর ডট কম(Sasta Sundar.com) ফ্লিপকার্টের প্যান ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ককেও কাজে লাগাতে পারবে। ২০১৩ সালে বিএল মিত্তাল এবং রবিকান্ত শর্মা এই সস্তাসুন্দর ডট কমের(SastaSundar.com)পরিষেবা শুরু করেন। ইতিমধ্যেই অনলাইনে এই ওষুধের বাজারে রয়েছে রিলায়েন্স, অ্যামাজন, টাটার মতো সংস্থাগুলি। বলা বাহুল্য, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থা প্রবেশে বাড়বে প্রতিযোগিতা। রিলায়েন্সের(Reliance)NetMeds(নেটমেডস), টাটা গ্রুপের(Tata Group)-এর ১ এমজি ফার্মইজি(1mg PharmEasy) এবং আমাজন ফার্মাসি(Amazon Pharmacy)-র সঙ্গে এবার মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ফ্লিপকার্ট হেলথপ্লাস(Flipkart Health+)। করোনা যুগে বেড়েছে অনলাইন ফার্মেসির চাহিদা। সেই জন্যই প্রতিযোগিতার বাজারে প্রবেশ করেছে সংস্থাগুলি। মনে করা হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে দেশের ই-হেলথ(e-health) সেক্টরের মূল্য পৌঁছে যাবে ১৬ বিলিয়ন ডলারে যার এখন মূল্য ১.২ বিলিয়ন ডলার। ফ্লিপকার্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি আইয়ার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যখাতে প্রবেশের জন্য এই সংস্থা কতটা উদগ্রীব। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ধীরে ধীরে দক্ষতার সঙ্গে এই খাতে সুনাম অর্জন করেছে সস্তাসুন্দর। এবার তাঁদের সঙ্গে ফ্লিপকার্ট গাঁটছড়া বাঁধায় দুই সংস্থাই লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।