সংক্ষিপ্ত
কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২.৭ লক্ষ কোটি টাকা। এমএসপি-তে দেওয়া হবে ২.৩ লক্ষ কোটি টাকা, বললেন অর্থমন্ত্রী। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি-এর মাধ্যমে রেকর্ড পরিমান ফসল কেনার সুবিধা পাওয়া যাবে। জমির নথি ডিজিটালাইজেশন করা হবেও বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ।
কৃষকদের (Farmer) জন্য বরাবরই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে মোদী সরকার (Narendra Modi)। কিছুদিন আগেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে পিএম কিষাণ যোজনার দশম কিস্তির টাকা। এছাড়াও কৃষকদের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান করে থাক কেন্দ্র। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ইউনিয়ন বাজেটে (Union Budget) কৃষকদের (Farmer) জন্য বিশেষ কোনও ঘোষণা হতে পারে বলে আশা করা হয়েছিল। আর প্রত্যশা হয়তো কিছুটা সফলও হল। মহিলা কিংবা পিছিয়ে পড়া জনজাতির পাশাপাশি এবার বাজেটে (Union Budget) বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছেন কৃষকরাও। ১ ফেব্রুয়ারির ইউনিয়ন বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রে বদল আনতে ও কৃষকদের উন্নয়নে একগুচ্ছ সুবিধার কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। কৃষি গবেষণা ও জৈব চাষের কথা যেমন উঠে এসেছে তেমনই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এমএসপি (MSP) অর্থাৎ ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের প্রসঙ্গকেও। মঙ্গলবার বাজেট পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Shitaraman) বললেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি (MSP)-এর মাধ্যমে রেকর্ড পরিমান ফসল কেনার সুবিধা পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য মোট ২.৭ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। তিনি জানিয়েছেন, এমএসপি-এর মাধ্যমে ২.৩ লক্ষ কোটি টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, সেচ ব্যবস্থার ওপর জোড় দেওয়া হবে। এছাড়াও গঙ্গার তীর থেকে ৫ কি.মি. এর মধ্যে জমিতে জৈব চাষের বৃদ্ধি করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। জমির নথি ডিজিটালাইজেশন করা হবেও বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেই সঙ্গে রাসায়নিকমুক্ত প্রাকৃতিক চাষের প্রচার করা হবে। তেল-তৈলবীজের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ান হবে। এখানেই শেষ নয়, ড্রোনের মাধ্যমে কৃষিতে জোর দেওয়া থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচারে ফোকাস করা হবে। রাজ্যগুলিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস পরিবর্তন করতে বলা হবে, যাতে চাষের খরচ বেশ খানিকটা কমানো যায়। কৃষকদের উন্নত জাতের ফল ও সবজি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে। বলা বাহুল্য, কৃষকরা ডিজিটাল পরিষেবাও পাবেন। এই পরিষেবার তালিকায় রয়েছে নথি, সার, বীজ, ওষুধ সংক্রান্ত পরিষেবা। উল্লেখ্য, বাজেট পেশ হওয়ার কয়েক দিন আগেই নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে মোদী সরকার। আর বাজেটের পরই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট। তাই কৃষিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
তফসিলি জাতির কৃষকদের জন্যও সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন রকমের সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, নাবার্ডের মাধ্যমে কৃষি খাতের গ্রামীণ ও কৃষি স্টার্টআপগুলিকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। এই স্টার্টআপগুলি FPO গুলিকে সহায়তা করবে এবং কৃষকদের প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করবে৷ কেন বেটওয়া লিঙ্কিং প্রজেক্টের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা উন্নততর করা হবে। তৈলবীজ আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে স্কিম আনবে মোদী সরকার। দেশেই যাতে বেশি পরিমাণে তৈলবীজ উৎপাদন করা যায়, তার জন্যই এই স্কিম আনা হবে।