সংক্ষিপ্ত
চাকরী ছেড়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে চাইছেন? ছোট করে ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে? আপনার জন্য রইল ছোট ব্যবসা শুরু করার একগুচ্ছ টিপস
অনেকদিন চাকরী করেছেন?আর ভালো লাগছে না? নিজের মতো করে নতুন কিছু করতে চান? আপনার বন্ধুবান্ধরা অনেকেই নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছে, তাই আপনার মনও কি সেই দিকে ঘুরছে? যদি সেটাই হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ব্যবসা শুরু করার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস বা আইডিয়া(Business Ideas)। প্রথমে আসা যাক অটোমোবাইল ব্যবসার কথায়। দু-চাকার যান যাঁরা চালান যেমন বাইক, স্কুটি এগুলোর রিপেয়ারিং-র(Repairing) জন্য শো-রুমে অনেকটা টাকাই ব্যায় করতে হয়। তার চেয়ে যদি আপনি নিজেই এই কাজটা শিখে নেন তাহলে কেমন হয়। কাজ শেখার পর প্রয়োজনে হোম সার্ভিসও দিতে পারবেন বা নিজের এলাকায় সামর্থের মধ্যে দু-চাকা রিপেয়ারিং-র (Repairing) একটা ছোট দোকান খুলে নিলেন। বাইক, স্কুটার ছাড়াও রিপেয়ারিং-র ব্যবসার জন্য মোবাইল ফোন রিপেয়ারিং-র (Repairing) ট্রেনিংও নিতে পারেন।
আজকের দিনে দু পা এগোলেই চোখে পরে খাবার হোম ডেলিভারির(Food Home Delivery) বিজ্ঞাপন। ইচ্ছে হলে আপনিও শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। ঘরে বসেই হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করা যায়। রন্ধনশিল্পে নিপুনা না হলেও চলবে, প্রয়োজন শুধু দৈনিক খাবার রান্না করার প্রাথমিক জ্ঞান। আজকের এই ব্যস্ত সময় এই ব্যবসার জুড়ি মেলা র ভার। যদি অফিস পাড়ায় একটা টিফিন সার্ভিস বা লাঞ্চ সার্ভিস খুলে ফেলতে পারেন তাহলে তো একেবারে কেল্লাফতে।
Startup Business Tips-কোভিডে কাজ হারানোর যন্ত্রনা, ঘরে বসে উপার্জনের সুযোগ
SBI Q2 Profit-দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চরম লাভবান SBI, নিট মুনাফা ৮৮৯০ কোটি টাকা
দুয়ারে সরকারের মত দুয়ারে সার্ভিসেরও(Doorstep Service) আজকাল বড্ড চাহিদা। দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই শোনা যায়, ঘরের কিছু না কিছু ইলেকট্রিক(Electronics) জিনিস খারাপ হওয়ার কথা। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ইলেকট্রিশিয়ানের চাহিদা কোনও দিনই কমার নয়। ইলেকট্রিকের কাজ শিখে ডোরস্টেপ সার্ভিস দেওয়ার ব্যবসাটা কিন্তু মন্দ নয়।
নেটদুনিয়া মারফত অনেক ব্যবসাই করা যায়, তার মধ্যে অন্যতম ব্লগিং(Blogging)। যদিও ব্লগিংটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে তবে ব্লগিং মারফত বিজনেসও করা যায় সেটাও মাথায় রাখতে হবে। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে নিজের ব্লগিং বিজনেস(Own Blogging Business) শুরু করতেই পারেন। একই সঙ্গে ভাবতে পারেন প্রাইভেট টিউশনির(Private Teaching) কথাও। আজকের দিনে স্কুলে ভর্তির আগেই বাচ্চার জন্য প্রাইভেট টিউটর খুঁজতে থাকেন বাবা-মায়েরা। অনেক বাবা-মাই কোচিং সেন্টার পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে প্রাইভেট টিউটরই(Private tutor) একমাত্র ভরসা। শিক্ষকতা করে টাকা উপার্জনের পথ কিন্তু আপনার সামনে খোলা।
আজকাল অনেক বাড়িতেই পোষ্য (Pet)থাকে। কিন্তু বাড়ির লোকরা কিছুদিনের জন্য না থাকলে তার খেয়াল রাখার জন্য দরকার হয় একটা প্রকৃত জায়গার। আর ঠিক সেই কারনেই খোঁজা হয় একটা ভালো পেট কেয়ার সার্ভিস(Pet Care Service)। আপনিনা যদি পোষ্যতে ভয় না পান তাহলে এই বিজনেস আইডিয়াটা হবে আপনার জন্য আদর্শ আইডিয়া। সোশ্যাল সাইট খুললেই দেখা যায় ভিন্নস্বাদের হোমমেড কেক(Bake the Cake)। কেক বানানো শিখে যে কোন অনু্ষ্ঠানে বা কারোর দেওয়া অর্ডারের ডেলিভারি করতেই পারেন। হোমমেড কেক(Homemade Cake) ডেলিভারির ব্যবসা কিন্তু যথেষ্ট লাভজনক। আপনার বানানো কেকের রিভিউ ভালো হলে কোনও দোকানও আপনার থেকে পাইকারি দামে কেক নিতে পারে।
জামা-কাপড় বা জুয়েলারির(Clothing And Jewellery) ব্যবসাও কিন্তু আজকের দিনে অন্যতম সেরা বিজনেস আইডিয়া। ভালো ফ্যাশন সেন্স থাকলে শুরু করতে পারেন জামা কাপড়ের ব্যবসা। আর আপনি যদি ফ্যাশন ডিজাইনার হন তাহলে তো সোনায় সোহাগা। নিজেই জামা তৈরি করে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট মারফত ব্যবসা করতে পারেন। ঠিক একইভাবে জুয়েলারির ব্যবসাও(Jewellery Business) করতে পারেন। নিজেও জুয়েললারি মেকিং শিখে ব্যবসা করতে পারেন আবার পাইকারি দরে জুয়েলারি কিনে বেচতে পারেন। সিসিটিভি সার্ভিসের(CCTV Service) চাহিদাও আজকাল বেস বাড়ছে। মেট্রো সিটি থেকে শুরু করে ছোট শহর, সব জায়গাতেই গড়ে উঠেছে বড় বড় কমপ্লেক্স। সেখানে রয়েছে সিসিটিভি(CCTV)। সেগুলো সার্ভিসিয়েরও প্রয়োজন হয়। সিসিটিভি সার্ভিস শিখে নিলে প্রথমে ছোট করে নিজের একটা সিসিটিভি সার্ভিসের ব্যবসা খুলতেই পারেন। একইভাবে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওভেন, এসি সাড়াইয়ের কাজ শিখে নিজের মতো করে ছোটখাটো একটা ব্যবসা কিন্তু শুরু করাই যায়। ল্যাপটপ(Laptop), কম্পিউটার(Computer) পুরনো হলে সেটাকে সাড়িয়ে আবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য কম্পিউটার সার্ভিসিং জানাটা অবশ্যই দরকার। লকডাউন পরিস্থিতিতে ওয়ার্ক ফর্ম হোম হওয়ার এই ব্যবসার চাহিদাও বেড়েছে দ্বিগুণ। যারা একনায়কতন্ত্র ব্যবসা করেন তাঁদের একজন অ্যাকাউন্টটেন্ট প্রয়োজন হয়। মানি ম্যানেজমেন্ট ব্যবসার একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আর সেটা করতে পারে একজন দক্ষ অ্যাকাউন্টটেন্ট(Accountent)। তাই এই বিষয় যদি আপনার যথার্থ জ্ঞান থাকে তাহলে আপনার জন্য অ্যাকাউন্টিংয়ের(Accounting) ব্যবসা হবে পারফেক্ট চয়েজ।