সংক্ষিপ্ত
এবার থেকে অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের বেতনের ওপর চলবে কাঁচি। এতদিন পর্যন্ত গেস্ট লেকচারর বা অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের আয়ের ওপর কোনও জিএসটি চাপানো হত না। তবে এবার থেকে অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের বেতনের ওপর ১৮ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি ধার্য করা হল। অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের বেঞ্চ এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এবার থেকে অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের বেতনের ওপর চলবে কাঁচি। এতদিন পর্যন্ত গেস্ট লেকচারর বা অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের আয়ের ওপর কোনও জিএসটি চাপানো হত না। সেই সব দিন এখন অতীত। আয়কর দফতরের (Income Tax Depertment) তরফে জানান হল, এবার থেকে অতিথি অধ্যাপক (Guest Lecturer) ও জিমের ট্রেনারদের (Gym Trainer) বেতনের ওপর ১৮ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি (18% GST) ধার্য করা হল। অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের (Authority for Advance Ruling) কর্নাটক (Karnataka) বেঞ্চ এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, শ্রীরাম গোপালকৃষ্ণ নামে এক ব্যক্তি অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছিলেন, অতিথি অধ্যাপক হিসেবে আয়ের উপর কী ধরনের কর দিতে হবে। সেই প্রশ্নের উত্তরেই কর্নাটক বেঞ্চ জানিয়েছে পেশাদার বা টেকনিক্যাল অথবা ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও ছাড়মুক্ত পরিষেবাগুলিকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি দিতে হবে।
অতিথি অধ্যাপক আর জিম ট্রেনারদের উপর চাপবে জিএসটির বোঝা। অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের তরফে সাফ জানান হয়েছে যে কোনও পেশাদার ব্যক্তির বার্ষিক আয়ের লেনদেন যদি ২০ লাখের বেশি হয় তাহলে তাঁকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি দিতেই হবে। কেন অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের তরফে এমন নির্দেশ দেওয়া হল তার স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়েই এমনটা বলেছে অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে যারা ফ্রিল্যন্সার হিসাবে কাজ করছেন তাঁদের পকেটে চাপ পড়বে। রোজগারের থেকে যদি জিএসটি কেটে নেওয়া হয় তাহলে টাকার পরিমান স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা কমে যাবে।
আরও পড়ুন-সিম কার্ডের মত পোর্ট করিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যবীমাও, জেনে নিন সেই সহজ প্রক্রিয়া
আরও পড়ুন-করোনাকালে আয়করের ওপর ফোকাস করতে পারে কেন্দ্রীয় বাজেট, মতপ্রকাশ বিশেষজ্ঞ মহলের
অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিংয়ের (Authority for Advance Ruling) কর্নাটক (Karnataka) বেঞ্চ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অতিথি অধ্যাপক ও জিমের ট্রেনারদের আয়ের ওপর জিএসটি বা করের বোঝা চাপানোর, তাতে যথেষ্ট চাপে পড়বেন তাঁরা। আয়কর দফতরের মতে, এএআরের এহেন সিদ্ধান্তে কয়েক লক্ষ মানুষের রোজগারের ওপর প্রভাব পড়বে। যারা পার্ট টাইম হিসাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করছেন তাঁদের বেতনে করের বোঝা চাপানো হলে সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করছে আয়কর দফতর। এছাড়াও জিম ট্রেনারদের আয়ের ওপর জিএসটি চাপানো হলে তাঁরাও সমস্যায় পড়বেন। কারন বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন জিম বন্ধ ছিল। দেশ এখনও করোনামুক্ত নয়। তাই আগামী দিনে যদি আবার জিমের ঝাঁপ পড়ে যায়। তাহলে জিম ট্রেনারজের আয়ের ওপর প্রভাব পড়বে। সই রকম পরিস্থিতিতে কর দেওয়া তাঁদের জন্য খুবই মুশকিল হয়ে যাবে।