সংক্ষিপ্ত
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে এইচডিএফসি, এক্সিস ব্যাঙ্ক সহ রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাদের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য যথেষ্ঠ চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রেডিট কার্ডের লেট ফাইন চার্জ।
করোনা আবহে একেই জুবুথুবু আর্থিক পরিস্থিতি। তার মাঝেই ফের সাধারণের চাপ বাড়াল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের জন্য আসতে চলেছে বাড়তি চাপ। ক্রেডিট কার্ডে (Credit Card)সুদের হার (Interest rate) স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি থাকে। এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত কাজ করবে ক্রেডিট কার্ডের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার খবর। বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক, যেমন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI) থেকে এইচডিএফসি (HDFC), এক্সিস ব্যাঙ্ক (AXIX) সহ রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) তাদের ক্রেডিট কার্ড (Credit card) গ্রাহকদের জন্য যথেষ্ঠ চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড পরিষেবার চার্জে কিছুটা রদবদল করা হচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের মাসিক কিস্তি দিতে যদি দেরি হয় তার জন্য দিতে হবে বাড়তি খরচ। এই বিষয়টিও প্রতিটি গ্রাহকের কাছে ইতিমধ্যে পৌঁছে দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলো। বলা বাহুল্য, ক্রেডিট কার্ড থেকে অ্যাডভান্স টাকা তোলার সুবিধা থাকলেও, এই পদ্ধতি যথেষ্ঠ ব্যায় সাপেক্ষ। তাই খুব প্রয়োজন না পড়লে ক্রেডিট কার্ড থেকে অগ্রিম টাকা না তোলাই বাঞ্ছনীয়।
সম্প্রতি আইসিআইসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মেসেজের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের বর্ধিত খরচ সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ক্রেডিট কার্ড থেকে অ্যাডভান্স টাকা নিলে প্রতি ট্রানজাকশন পিছু দিতে হবে ২.৫০ শতাংশ টাকা। এছাড়া যদি কিস্তির টাকার পরিমান ৫০১ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বাকি থাকে তাহলে লাগবে ৫০০ টাকা। ৫০০১ থেকে ১০০০০ টাকা হয় তাহলে লেট ফি লাগবে ৭৫০ টাকা। ১০০০১ থেকে ২৫০০০ টাকা বাকি থাকে তাহলে লেট ফি দিতে হবে ৯০০ টাকা। যদি বাকি টাকার পরিমান ২৫০১১ থেকে ৫০,০০০ টাকা হয় তাহলে লেট ফি বাবদ দিতে হবে ১০০০ টাকা। বাকির পরিমান যদি ৫০০০০-র বেশী হয় তাহলে ১২০০ টাকা লেট ফাইন দিতে হবে। অন্যদিকে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রেডিট কার্ডের ওপর বর্ধিত চার্জ লাগু হওয়ার তালিকায় রয়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এক্সিস ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন-যখন খুশি তখনই পেয়ে যান নো কস্ট ইএমআই-য়ের সুবিধা, আমাজন নিয়ে এল বিশেষ ধরনের ক্রেডিট কার্ড
উল্লেখ্য, এই সমস্ত ব্যাঙ্কে ক্রেডিড কার্ডের মাসিক কিস্তি যদি বাকি থেকে যায় তাহলে সর্বোচ্চ ১৩০০ টাকা পর্যন্ত লেট ফাইন ধার্য করা হয়েছে। এই সমস্ত ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যদি ৫০ হাজার টাকা বেশি কেনাকাটা করলে এবং মাসিক কিস্তি যদি সঠিক সময় না দেওয়া হয় তাহলে অতিরিক্ত ১০০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা পর্যান্ত লেট ফাইন দিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, সেই বছরের নভেম্বর মাসের থেকে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা অক্টোবরের থেকে ১.৮৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অক্টোবরে যেখানে ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল সেখানে সেপ্টেম্বরেও ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল ১.৭ শতাংশ।