সংক্ষিপ্ত

২০২২ সালের মার্চের মধ্যেই ভারতে খুচরো বিক্রি ২০১৯-এর থেকে সামান্য বেশি হতে পারে বলে আশাবাদী রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সিইও কুমার রাজাগোপালন। রিটেল সামিট ২০২১-এর মঞ্চে জানান তিনি। 

করোনা (Covid)আতঙ্কের ছায়া যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। অতিমারির করোনার টিকা গ্রহণের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের পথে এগোচ্ছিল। কিন্তু তারই মাঝে বাঁধ সাজল করোনার চতুর্থ তরঙ্গ ওমিক্রন(Omicron)। আর সেই ওমিক্রন আতঙ্ক নিয়ে রীতিমত সরব হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্র। তবে তারই মাঝে কিছুটা আসার আলো দেখছেন খুচরো ব্য়াবসায়ীরা(Retailers)। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বেশ ভালই লাভের মুখ দেখেছে খুচরো ব্যবসায়ীরা। অক্টোবর মানেই বাঙালির সেরা পার্বণ দুর্গোৎসবের মরশুম। আর উৎসবের আমেজে স্বাভাবিকভাবেই জমে ওঠে বিক্রিবাটা। গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের অক্টোবরে মুখ থুবরে পরেছিল উৎসবের বাজার। তবে ২০২১ ছাপিয়ে গিয়েছে সেই পরিস্থিতিকে।  তাই ওমিক্রন (Omicron)আতঙ্কে যদি রাতারাতি লকডাউনের সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় তাহলে আবার পুরনো ছন্দে(Returns) ফিরবে খুচরো মার্কেট(Retail market)। নতুন বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চের মধ্যেই ভারতে খুচরো বিক্রি ২০১৯-এর থেকে সামান্য বেশি হতে পারে বলে আশাবাদী রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার(Retailers Association Of India) সিইও কুমার রাজাগোপালন(CEO Kumar Rajagopalan)। তবে কলকাতা(Kolkata) তথা পূর্ব ভারতের বাজার নিয়ে তিনি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। কারণ, গত বছর দেশব্যাপী করোনা-লকডাউনের সময়কালের পর থেকে কলকাতার খুচরো বাজার(Retail Market) দেশের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় ধারাবাহিক ভাবে অনেক বেশি স্থিতিশীল।

শুক্রবার কলকাতায় আয়োজন করা হয়েছিল  রিটেল সামিট ২০২১(Retail Summit 2021) । সেখানেই একটি প্রশ্নের উত্তরে কুমার রাজাগোপালন বলেন, অক্টোবরে গোটা ভারতে খুচরো ক্ষেত্রে বিক্রি ২০১৯-এর অক্টোবরের তুলনায় ১৪% বেশি হয়েছে। নভেম্বরেও বিক্রিবাটা বেশ ভালোই হয়েছে। সরকার যদি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন না করে শুধুমাত্র কনটেনমেন্ট জোন গড়ে তোলার কৌশল নেয়, সে ক্ষেত্রে মার্চের শেষে চলতি অর্থ বছরের শেষ ৬ মাসের বিক্রি ২০১৯-২০ সালের একই সময়কালের বিক্রির সমান বা সামান্য বেশি হবে। তাঁর কথার প্রসঙ্গে যুক্তি দিতে গিয়ে বলেন, কনটেনমেন্ট জোনের ভিতর দোকানবাজারে গিয়ে কেনাকাটা করতে ক্রেতারা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। কলকাতা-সহ পূর্ব ভারতে অক্টোবরে বিক্রি ১৩% বেড়েছে। চলতি অর্থ বছরের বাকি সময়টাতেও কলকাতার বাজারের শ্রীবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী ভারতের সংগঠিত খুচরো ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি। রাজাগোপালন বলেন, করোনা অতিমারী ভারতে দেখা দেওয়ার পর থেকে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে কোনও মাসে বিক্রি বেড়েছে আবার কোনও মাসে বিক্রি কমেছে।  

আরও পড়ুন-COVID 19: করোনার চতুর্থ তরঙ্গে টার্গেট কি শিশুরা, আশঙ্কার কথা শোনালেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞরা

আরও পড়ুন-Green Hydrogen Car-শীঘ্রই হাইড্রোজেন চালিত গাড়ি নিয়ে বেড়োবেন নিতিন গডকড়ী, কিনেছেন পাইলট প্রোজেক্ট গাড়িও

আরও পড়ুন-Nirmala Shitaraman-ডিজিটাল মুদ্রার ওপর নিয়ন্ত্রন আনতে হবে,তৈরি করতে হবে বিশ্ব ব্যবস্থা,বললেন নির্মলা সীতারমণ

একমাত্র ব্যতিক্রম কলকাতা তথা পূর্ব ভারত। এখানে বিক্রির পরিমান হয় একই থেকেছে বা সামান্য বেড়েছে। গত বছরের জুন থেকে কোনও বড়সড় লকডাউন হয়নি তাই খুচরো ক্ষেত্রে বিক্রির পুনরুজ্জীবনে কলকাতার এই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। উল্লেখ্য, আমাজন, ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে কেন্দ্র ও সিসিআই-তে ভারতের খুচরো বিপণিগুলির সংগঠন সিএআইটি-র করা অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছিলেন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সিইও কুমার রাজাগোপালন। তবে তাঁর মতে, মার্কেটপ্লেস যেন কোনও ভাবেই খুচরো বিক্রেতাদের প্রতিযোগী না হয়ে ওঠে।