সংক্ষিপ্ত
মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই এই টাকা ফেরত দিতে হবে। ডিপোজিট ইন্সিউরেন্স ক্রেডিট গ্যারেন্টি স্কিমের টাকা বাড়ানো কথা প্রথম সামনে এনেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
১২ ডিসেম্বর ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন শিল্পমন্ত্রী পিয়ুষ গোয়াল (Piyush Goyal)। এক ধাক্কায় পাঁচগুণ বেড়ে গেল ব্যাঙ্কের ডিপোজিটের ওপর ইন্সিউরেন্স কভারেজ। বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ব ব্য়াঙ্ক থেকে শুরু করে প্রাইভেট ব্যাঙ্ক, একটি নূন্যতম বিমার সীমা (Deposit Insurance Credit Guarantee Scheme) এবার বাড়ানোর খবর প্রকাশ্যে আনলেন পিয়ুষ গোয়াল। আগের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাাঙ্ক (Bank) মারফত টাকা ফরফিট হলে তা মাত্র এক লাখ টাকাই ফেরত পেত গ্রাহকেরা। শুধু তাই নয়, উল্টে তার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল ১০ বছর। এই নিয়মের জেরেই বেজায় নাজেহাল হতে হত গ্রাহকদের। কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে জমানো টাকা ব্যাঙ্কের ভরসায় রেখে দেওয়ার পর ব্যাঙ্ক যদি দেউলিয়া ঘোষণা হয়, তবে সেই টাকা সবটাই নষ্ট। শুধু তাই নয়, বিমার ভিত্তিতে প্রাপ্য টাকার পরিমাণও সামান্য, তাও তৎক্ষণাৎ নয়, এর জেরে ব্যাঙ্কের প্রতি আস্থা হারানোর সম্ভাবনাই থেকে যায় প্রবল।
এবার সাধারণের কথা মাথায় রেখে, ব্যঙ্ক গ্রাহকদের হয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পিয়ুষ গোয়াল। তিনি জানালেন, এই ফেরত দেওয়া অঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়ে এক থেকে ৫ লাখ করা হল। পাশাপাশি ১০ বছরের অপেক্ষা আর নয়, মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই এই টাকা ফেরত দিতে হবে। ডিপোজিট ইন্সিউরেন্স ক্রেডিট গ্যারেন্টি স্কিমের টাকা বাড়ানো কথা প্রথম সামনে এনেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনই প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মনমোহন সিংকে একটি টিছি লিখেছিলেন। জানিয়েছিলেন এই বিমার অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর কথা, পাশাপাশি ১০ বছর অতিরিক্ত বেশি সময়, কমিয়ে ফেলা হোক এই মেয়াদও। কিন্তু তৎকালিন সরকার তা মেনে নেয়নি বলেই এদিন সকলের সামনে প্রকাশ্যে আনেন পিয়ুষ গোয়াল।
আরও পড়ুন-Republic Day 2022: প্রজাতন্ত্র দিবসে মধ্য এশিয়ার পাঁচ দেশকে আমন্ত্রণ ভারতের
বর্তমানে যদি কোনও ব্যঙ্কা গ্রাহক ব্যঙ্কে তাঁর আমানত জমা রাখেন, এবং ব্যঙ্ক তা সময় মত ফেরত দিতে সক্ষম না হয়, তবে তিনি নিশ্চিতরূপে ৫ লাখ টাকা পাবেন। শুধু তাই নয়, এই ফেরত দেওয়া টাকার জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করত হবে না, মাত্র তিন মাসের মধ্যেই এই টাকা ব্যাঙ্ককে ফেরত দিতে হবে। পিয়ুষ গোয়ালের কথা অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত মানুষকে অনেক বেশি ভরসা যোগাবে ব্যাঙ্কের প্রতি, ও তড়িঘড়ি টাকা ফেরত পাওয়ার একটা ভরসা থেকে যাবে।