সংক্ষিপ্ত
শনিবারই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি আইপিও-তে ২০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির বা এফডিআই এর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। উল্লেখ্য, কোনও বিদেশি সংস্থা শেয়ার কিনতে চাইলে, সরকার বা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদনও লাগবে না। সরাসরি পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ দেবে এলআইসি। রুশ-উইক্রেন যুদ্ধ আবহের মধ্যে একটা সংশয় তৈরি হয় যে শেয়ার বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে এআইসি আইপিও স্থগিত করা হতে পারে। তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
বর্তমানে লাভের আশায় নামী দামী সংস্থা গুলোর কাছে প্রথম পছন্দ আইপিও(IPO)। এবার সেই আইপিও-র দৌড়ে এগিয়ে গেল এলআইসি(LIC) বা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্রাথমিক পাবলিক অফার(IPO)বা আইপিওর কথা ভেবেছে এই সংস্থা। এবার সেই ভাবনাকে সফল হওয়ার পথে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি পর্ব। তাই বলা যেতেই পারে অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা দিনের। আগামী মার্চেই আইপিও-র ময়দানে প্রথমবার আত্মপ্রকাশের কথা এলআইসি-এর (Life Insurance Corporation)। এই সংস্থাও নিজেদের লাভের জন্য আইপিও থেকে টাকা তুলতে এসে বিদেশি লগ্নিকারীদের মোটেই বঞ্চিত করতে চায় না। সেই ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়েছিল এলআইসি। এবার সেই খবরে পড়ল শিলমোহর। সরকারি সূত্রের খবর, শনিবারই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাটিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির বা এফডিআই (FDI)-এর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। উল্লেখ্য, কোনও বিদেশি সংস্থা শেয়ার কিনতে চাইলে, সরকার বা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদনও লাগবে না। সরাসরি পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ দেবে এলআইসি।
প্রসঙ্গত, বর্তমান এফডিআই (FDI)-এর নীতি অনুযায়ী বীমা খাতে ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি রয়েছে। তবে এলআইসি-এর ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। কেন্দ্রের লক্ষ্য, আইপিও-র হাত ধরে রাজকোষে ৬৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতি এবং বিলগ্নিকরণের সংশোধিত লক্ষ্য পূরণে সফল করার উদ্দেশ্যেই বিদেশি লগ্নির সুযোগ খুলে সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করা হল তা বলাই বাহুল্য। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির (SEBI) নিয়মানুসারে আইপিও-তে এইডিআই এবং এফপিআই উভয়ই অনুমোদিত। তবে এলআইসি অ্যাক্টে যেহেতু বিদেশী বিনিয়োগের কোনও অনুমতি ছিল না সেই জন্য এলআইসি অ্যাক্টে পরিবর্তন করার পরই বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি পাওয়া যেত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুলাই মাসের মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে এলআইসি-এর আইপিও-কে অনুমোদন দেয়।
তবে রুশ-উইক্রেন যুদ্ধ আবহের মধ্যে একটা সংশয় তৈরি হয় যে শেয়ার বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে এআইসি আইপিও (LIC IPO) স্থগিত করা হতে পারে। তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। উল্টে এলআইসি আইপিও নিয়ে আলোচনাও চলছে তুঙ্গে। বিনিয়োগকারীরাও এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই সরকার বিষয়টিকে আর পিছিয়ে দিতে নারাজ। বলা বাহুল্য, এলআইসি আইপিও এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় আইপিও হতে চলেছে।