সংক্ষিপ্ত
বুধবার মুম্বইয়ের এক বেসরকারী হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বাণিজ্যিক সম্মেলন। ১০০ জন শিল্পপতি নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইয়ং প্রেসিডেন্টস অর্গানাইজেশন।
বুধবার(Wednes Day) সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে(Mumbai) একটি বাণিজ্যিক সম্মেলনে(trade conference) অংশগ্রহণ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দেশের বিভিন্ন নামী আর্থিক সংস্থার প্রায় ১০০ জন শিল্পপতিদের(Industrialists) সঙ্গে সেই সভায় যোগদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইয়ের এক বেসরকারী হোটেলে দুপুর বেলায় চার দফার চলে এই সভা। আর বাণিজ্য নগরীতে আয়োজিত সেই সভায় শিল্পপতিদের প্রশংসা কুড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাণিজ্যিক মডেল(Commercial model)। বিদ্বজ্জনদের সভা থেকে শিল্পবাণিজ্যের মঞ্চ, সর্বত্রই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামাজিক প্রকল্পগুলির জয়গান শোনা গিয়েছে। শুধু তাই নয় সেই সঙ্গে রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্বে সরকারের যে সাফল্য সেগুলোও বারবার উঠে এসেছে সেদিনের আলোচনায়। বুধবার সন্ধেয় মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হোটেলে ইয়ং প্রেসিডেন্টস অর্গানাইজেশন(Young president Organization)বা ওয়াইপিও-র আয়োজনে একটি শিল্পসভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডে মমতাকে বাংলার বাঘিনী বলে সম্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মমতার সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নিয়েছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি নিরঞ্জন হীরানন্দানি। সেখানে আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে, তৃণমূল স্তর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্থানের কাহিনি। সেই সঙ্গে মমতার নেতৃত্বে কিভাবে বাংলা সর্বক্ষেত্রে সারা দেশের কাছে মডেল-র আকার নিয়েছে। উঠে এসেছে এক মহিলা নেতৃত্বের লড়াইয়ের কাহিনি। মমতাও সেখানে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি কীভাবে নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে জীবনযাপন করেন, কীভাবে রাজ্যের জন্য কাজ করেছেন, কীভাবে তাঁর প্রকল্পগুলিকে মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কথোপকথনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি শুধু বাংলার উন্নয়ন করেছেন তা নয়, রেলমন্ত্রী হিসাবেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ কীভাবে সাড়া দিয়েছিল ও তাঁর প্রশংসা করেছিল সেই স্মৃতিও রোমন্থন করেছেন ইয়ং প্রেসিডেন্টস অর্গানাইজেশন আয়োজিত সেই শিল্পসভায়। ৩৪ বছরের সিপিএম রাজত্বকে ধূলিস্মাৎ করে কীভাবে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন এবং সেই মুখ্যমন্ত্রীর আসন গ্রহণ করা কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে সেই আলোচনার মঞ্চ থেকে।
আরও পড়ুন-দেশে পরিবর্তনের দরকার, দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জাভেদ আখতার-শাবানা আজমির
আরও পড়ুন-শীতলকুচির অডিও ক্লিপ, এবার বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল
রাজ্যের অগ্রগতি, রাজ্যে কী পরিবর্তন হয়েছে, বাংলা কীভাবে মডেল হয়ে উঠেছে, রাজ্যে শিল্প-বিনিয়োগের পরিবেশ ইত্যাদি বাণিজ্যনগরীর শিল্পমহলের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যের শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তিনি বলেন, রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। সেই বিনিয়োগ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ঠ। আপাতত কোথাও কোনও সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। সর্বোপরি সরকারের তরফে সব রকম সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। শিল্পপতি হীরানন্দানি বলেন, একসময় নাকি তাঁর ছেলে বলতেন, বাংলায় নতুন শিল্প গড়ার কোনও পরিবেশ নেই, উপযুর্ত কাঠামো নেই। কিন্তু এখন সেসব অতীত। বদলেছে বাংলা। বদলেছে শিল্প গড়ার পরিবেশও। তাই এখন বাংলার বুকে শিল্প গড়ার জন্য বিনিয়োগ নিয়ে আর কোনও দ্বিমত নেই। শিল্পসভায় রাজ্যের শিল্পমহলের তরফে উপস্থিত ছিলেন, হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জয় বুধিয়া, তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা, সুমিত ডাবরিওয়াল, রুদ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।