সংক্ষিপ্ত
সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আদলে চালু করা যেতে পারে। সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ স্থানান্তরিত করা হবে। সেক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের যথাযথ প্রমাণপত্র জমা নেওয়া হতে পারে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ হতে চলেছে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ইউনিয়ন বাজেট (Union Budget)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)পেশ করবেন বাজেট। অতিমারি পরিস্থিতিতে এটি দ্বিতীয় বাজেট। এই বাজেটকে ঘিরে সকলেরই প্রত্যাশার পারদ চড়ছে। করোনা পরিস্থিতির জেরে বাজেটে সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পপতি সকলে লাভবান হতে পারে সেই দিকেই নজর রয়েছে সকলের। কেন্দ্রীয় সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালু করেছেন। আবার বেশ কিছু প্রকল্প পাইপলাইনেও রয়েছে। নতুন সোশ্যাল সিকিওরিটি স্কিমের (Social Security Scheme) অধীনে দেশের দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষগুলোকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করাই মুখ্য উদ্দেশ্য। তাঁদেরকে এই সুবিধার আওতায় আনার জন্য একেবারে খাতায় কলমে কাজ করা হবে। একটি প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কর্মকর্তরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সেরে ফেলেছেন। আসন্ন ইউনিয়ন বাজেটে (Union Budget) এর উল্লেখ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিমের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা মহামারীতে দেশের অনগ্রসর এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র, পরিযায়ী শ্রমিক এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মহামারী লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটা বিরাট খরচের সম্মুখীনও হতে হয়েছে। করোনার সময় আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। এছাড়াও যারা ছোট খাটো কাজ করে জীবিকা অর্জন করতেন তাঁদের পকেটেও টান পরেছে। এই সকল বিষয়কে নজরে রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প (Social Security Scheme) তৈরির দিকে বিশেষভাবে ফোকাস করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ইউনিয়ন বাজেটের আগে প্রবীণ নাগরিকদের কর কমানোর আর্জি এসবিআই রিসার্চ-এর
সেই সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পটি (Social Security scheme) প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আদলে চালু করা যেতে পারে। এতে, সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ স্থানান্তরিত করা হবে। সেক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের যথাযথ প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার একটা বিষয় থাকতে পারে। যেমন যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের রিলিভিং লেটার বা অন্য কোনো নথি, গ্রামীণ অসহায় মানুষ, যারা করোনাকালে ছোটখাট সংস্থার কাজ হারিয়েছেন এই রকম মানুষদের জন্যই সোশ্যাল সিকিওরিটি স্কিমের কথা বাজেটে উঠে আসতে পারে। এর মধ্যে দুর্ঘটনা বীমা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য অনেকগুলি স্কিম চালাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ভাইয়া বন্দনা যোজনা স্কিম যা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য একটি পেনশন প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা যা একটি দুর্ঘটনা বীমা প্রকল্প, যার মধ্যে ১২ টাকার বার্ষিক প্রিমিয়ামে দুই লাখ পরিমাণ প্রদান করা হয়। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য অটল পেনশন যোজনা এই দেশে প্রযোজ্য। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ পেনশন যোজনাও চালু করা হয়েছে যেখানে কৃষকরা ৬০ বছর বয়সে পৌঁছালে প্রতি মাসে ন্যূনতম তিন হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হয়। এছাড়াও পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় প্রতিটি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে বছরে তিনটি কিস্তিতে মোট ৬ হাজার টাকা ক্রেডিট হয়।